ফাইল চিত্র।
এক দিকে পেট্রল-ডিজেল, অন্য দিকে রান্নার গ্যাস— জ্বালানির বেলাগাম দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ গোটা দেশ। এর ধাক্কায় মূল্যবৃদ্ধির হারও যে আরও চড়তে পারে, বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। মনে করিয়েছেন তেলের দাম কল-কারখানায় উৎপাদনের খরচ বাড়ায়। তাই কেন্দ্র-রাজ্য দু’পক্ষেরই কর কমানো জরুরি। আর মোদী সরকারকে ‘জন-বিরোধী’ তকমা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস। প্রতিবাদ হিসেবে দলের মুখপাত্র সাংবাদিক বৈঠক করেছেন খালি গ্যাস সিলিন্ডারের উপরে বসে।
তিন দিন ধরে থমকে পেট্রল-ডিজেলের দাম। কিন্তু ফের দৌড় শুরু করে তা কোথায় গিয়ে থামবে ভেবে ভয়ে কাঁটা মানুষ। ঠিক যে ভাবে মাস পয়লায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়েনি শুনলেই আঁতকে উঠছেন তাঁরা। কারণ, দেশে সেঞ্চুরি হাঁকানো পেট্রল আর আগুন দরের ডিজেল যেমন যন্ত্রণা বাড়াচ্ছে সইয়ে সইয়েই, তেমনই মাসের শুরুতে দাম না-বাড়ার ঘোষণায় নিশ্চিন্ত হওয়ার অভ্যেসও পাল্টাচ্ছে। ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারি, দু’মাসেই একাধিক দফায় মাসের মাঝে এসেছে দাম বৃদ্ধির খবর। এ ভাবেই ১৪.২ কেজির রান্নার গ্যাসের (ভর্তুকিহীন) দাম ৮০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
টুইটে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার তোপ, মোদী সরকার বিত্তবানদের জন্য ব্যাট করে। আমজনতার জন্য রেখেছে চড়া দর ও মূল্যবৃদ্ধি। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার কটাক্ষ, ঠান্ডা উনুনে খালি তাওয়া পড়ে আছে। খাবার নেই।
জনতার বোঝা কমানো উচিত, মানছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে এ দিন তাঁর দাবি, কেন্দ্র তেলে কর কমিয়ে সুরাহা দেবে কি না, এই প্রশ্ন তাঁকে ধর্মসঙ্কটে ফেলেছে। এ জন্য কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনার কথাই বলেছেন। কংগ্রেসের তোপ, স্টেডিয়াম নিজের নামে রেখে পেট্রলে সেঞ্চুরি করেছেন মোদী। কমেছে গ্যাসের ভর্তুকিও।