দেশের প্রায় চার ডজন ছোট তেল ও গ্যাস খনি নিলাম করতে চলেছে কেন্দ্র। ছ’বছরে এই প্রথম বার। এই মর্মে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দরপত্র চেয়েছে তারা। তেল মন্ত্রক জানিয়েছে, নিলাম হতে চলা ৪৬টি খনির মধ্যে ২৬টি স্থলভূমিতে অবস্থিত, ১৮টি স্থলের কাছে থাকা সমুদ্রপৃষ্ঠে আর বাকি দু’টি গভীর সমুদ্রে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নিলামের জন্য দরপত্র চেয়েছে তারা। একটি সংস্থা একাধিক খনির জন্য দরপত্র জমা দিতে পারবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হাইড্রোকার্বন্স (ডিজিএইচ) জানিয়েছে, ওই ক্ষেত্রগুলির আয় সরকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে সংস্থাগুলি। সেখানে কাজ শুরু হওয়া মাত্র সেই নিয়ম চালু হবে বলেও জানিয়েছে ডিজিএইচ।
প্রসঙ্গত, গত বছরই জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে সংস্কারের পথে হাঁটার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। যার আওতায় ছোট মাপের ৬৯টি তেল-গ্যাস খনি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায় ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়া-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। তখনই সেগুলি নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। খরচে না-পোষানোয় সেখান থেকে তেল বা গ্যাস উত্তোলন হচ্ছিল না। অথচ এই সব খনিতে অন্তত ৭০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রাকৃতিক সম্পদ আটকে রয়েছে বলে আনুমানিক হিসাব রয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের।
তবে যেখানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ৪৮ ডলারে ঘোরাফেরা করছে, সেখানে কেন সংস্থাগুলি নিলামে অংশ নিতে রাজি হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল ও গ্যাস ব্যবহারকারী হলেও, এখনও ভারতের চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এই অবস্থা বদলের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে তেলের আমদানি নির্ভরতা ৬৬ শতাংশে এবং ২০৩২ সালের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই খনি নিলাম সেই পথে কতটা সাহায্য করতে পারবে, এখন সে দিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।