—প্রতীকী চিত্র।
এই প্রথম ২ লক্ষ কোটি টাকা পার করল জিএসটি সংগ্রহ। আজ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এপ্রিলে পরোক্ষ কর সংগ্রহের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা। যা এক বছর আগের তুলনায় ১২.৪% বেশি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। এত দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল সর্বোচ্চ। গত মার্চে কর সংগ্রহের অঙ্ক ছিল ১.৭৮ লক্ষ কোটি। কেন্দ্রের দাবি, গত মাসে মূলত দেশের বাজারে লেনদেন এবং আমদানি বৃদ্ধিই কর সংগ্রহকে মাথা তুলতে সাহায্য করেছে। আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধির ফলেই জিএসটি সংগ্রহ ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। কর ফেরতের হিসাব কষে নিট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১.৯২ লক্ষ কোটি টাকা। এক বছর আগের নিট সংগ্রহের চেয়ে ১৭.১% বেশি।
আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি এবং কর সংগ্রহের দক্ষতার জন্যই জিএসটি সংগ্রহ ২ লক্ষ কোটি টাকা পার করেছে।... সংযুক্ত জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির আর কোনও বকেয়া নেই।’’ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মাসে কেন্দ্রীয় জিএসটির অঙ্ক ছিল ৪৩,৮৪৬ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ৫৩,৫৩৮ কোটি এবং সংযুক্ত জিএসটি ৯৯,৬২৩ কোটি। এর পাশাপাশি, সেস বাবদ ১৩,২৬০ কোটি এবং আমদানিকৃত পণ্যের উপর ১০০৮ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কর সংগ্রহের বৃত্তকে অনেক দিন ধরে বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
প্রক্রিয়া চলছে কর ফাঁকি রোখার। তার সুফল মিলছে। পিডব্লিউসি ইন্ডিয়ার পার্টনার প্রতীক জৈনের ব্যাখ্যা, নতুন সরকার গঠনের পরে জিএসটি ব্যবস্থায় পরবর্তী দফার সংস্কার দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কর সংগ্রহ আরও বাড়বে। বিমানের জ্বালানি, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার চেষ্টা হয় কি না, সে দিকেও নজর থাকবে।