প্রতীকী ছবি।
বেকারত্বই যে এই মুহূর্তে মোদী সরকারের মাথাব্যথার সব থেকে বড় কারণ, সম্ভবত এই প্রথম খোলাখুলি তা কবুল করল কেন্দ্র। একই সঙ্গে মেনে নিল যে, ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন ছুঁতে শুধু ছোট-মাঝারি শিল্পেই অন্তত ৫ কোটি কাজের সুযোগ তৈরি হওয়া জরুরি। ছোট-মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর কথায়, ‘‘বেকারত্বই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। (ছোট-মাঝারি শিল্পে) ১১ কোটি কাজ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হতে গেলে পাঁচ বছরে ৫ কোটি চাকরি জরুরি।’’
বিরোধীদের অভিযোগ, বরাবরই বিভিন্ন পরিসংখ্যানের কাঁধে চেপে অর্থনীতিতে ‘অচ্ছে দিনের’ দাবি করে মোদী সরকার। কিন্তু তাতে চাপা পড়ে বেকারত্বের মতো জরুরি সমস্যা। এর আগে যথেষ্ট সংখ্যায় কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়ার সমস্যা স্বীকার তো দূর, প্রথমে এনএসএসও-র এ সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া রিপোর্ট মানতেও চায়নি কেন্দ্র। গডকড়ীর এই মন্তব্য তাই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত জুনেও যেখানে ইএসআইয়ের হিসেব বলছে, নতুন কাজের সংখ্যা মে-র চেয়ে কম।
কাজে কোপ পড়ার অভিযোগ উঠলেই কেন্দ্রের যুক্তি, দেশ বৃদ্ধিতে বিশ্বে দ্রুততম, তাই কর্মসংস্থান হচ্ছে নিশ্চয়। কিন্তু সেই অবস্থান থেকেও সরে এসে গডকড়ী বলেন, পাঁচ বছরে অন্তত ৫ কোটি চাকরি হলে, তবেই পূরণ হবে ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতির স্বপ্ন। অনেকের অবশ্য মত, গডকড়ী স্পষ্ট বক্তা ঠিকই। তবে দেশ ও বিশ্ব অর্থনীতির এমন পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় এ কথা কবুল না করে তেমন উপায়ও ছিল না।