প্রতীকী ছবি।
হলমার্কিং প্রক্রিয়া কার্যকর করার পদ্ধতিতে অসুবিধার কথা তুলে ধরে আগামিকাল, সোমবার ধর্মঘট ডেকেছেন সোনা ব্যবসায়ীরা। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের (জিজেসি) কাছে সেই ধর্মঘট তুলে নিতে আর্জি জানাল কেন্দ্র। হলমার্কিং ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের (বিআইএস) দাবি, চালুর পর থেকে এই ব্যবস্থা ‘খুবই সফল ভাবে’ চলছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘট করার কোনও যুক্তি নেই।
গয়না ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে বলেন, ‘‘আমাদের আপত্তি হলমার্ক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিআইএসের চালু করা পোর্টাল নিয়ে। তা ঠিক মতো তৈরি না-করেই তড়িঘড়ি চালু করায় সমস্যা হচ্ছে পোর্টালের মাধ্যমে গয়নার এইচইউআইডি নম্বর তৈরি নিয়ে।’’ ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডলের সভাপতি জনেন্দ্র তান্নারও অভিযোগ, ‘‘জিএসটি-র মতোই ঠিক ভাবে পরিকাঠামো তৈরি না-করে হলমার্ক ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র। ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা তারা শুনলেও সমাধানের ব্যবস্থা হয়নি।’’
হলমার্ক কেন্দ্র-সহ কিছু পক্ষ অবশ্য নতুন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তির কিছু দেখছে না। তাদের মতে, প্রাথমিক সমস্যা থাকলেও, এই ব্যবস্থা আখেরে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষা করবে। হলমার্ক করা গয়নায় সোনার মানে বিআইএসের গ্যারান্টি থাকায় তা দেশের যে কোনও জায়গায় একই দামে বিক্রি করা যাবে। ব্যবসায়ীদের বেশি সময় লাগার অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রগুলির দাবি, পরীক্ষার ব্যবস্থায় ত্রুটি না-থাকলে একটি গয়নায় হলমার্ক করতে ২৪ ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়।
বিআইএসের ডিরেক্টর জেনারেল প্রমোদ কুমার তিওয়ারির দাবি, চালুর পর থেকে দেশে ১ কোটিরও বেশি গয়নায় হলমার্কিং হয়েছে। শুধু গত শুক্রবার এক দিনেই তা হয়েছে ৩.৯০ লক্ষ গয়নায়। দেশের প্রায় ৮৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১৬১টিতে দিনে ৫০০টির বেশি গয়না জমা পড়েছে। অর্থাৎ, অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ক্ষমতার চেয়ে কম হলমার্কিং হচ্ছে। তার উপরে শীঘ্রই ছোট ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে একই মানের বিভিন্ন ধরনের গয়নার হলমার্কিং এক সঙ্গে করা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তিনি বলেন, ‘‘ব্যবস্থাটির সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীরা যখনই জানাচ্ছেন, তখনই সমাধানের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় ধর্মঘট করার কোনও যুক্তি নেই।’’