সোনার দাম স্থিতিশীল। ফাইল চিত্র
আসছে ধনতেরস। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। তার আগে সোনার দাম স্থিতিশীল। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যে দর চলছে তার থেকে খুব বেশি ওঠা নামা করবে না। দুর্গাপুজোর আগেই সোনার দাম অনেকটা নেমে যায়। আর পুজোর মধ্যে শুরুতে একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ‘গুড রিটার্নস’ ওয়েবসাইটের হিসেব মতো সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিন দিনে ২৪ ও ২২ ক্যারাট সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম যথাক্রমে ১০০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৬০০ টাকা বাড়ে। এর পরেই শুরু হয় পতন। দশমীতে প্রতি ১০ গ্রামে ৫০ টাকা এবং একাদশীতে ৫০০ টাকা কমে দর। দ্বাদশীতেও ১০ টাকা কমে। কিন্তু সোমবার সেই দর একটু বেড়েছে। সোমবার ২৪ ক্যারাট সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম হয়েছে ৪৯,৪৫০ টাকা। আর একই পরিমাণ ২২ ক্যারাট গয়নার সোনার দাম হয়েছে ৪৬,৭৫০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অগস্ট মাসে এক দিন প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম উঠেছিল ৫৭ হাজার টাকার উপরে। সোমবার যার দাম হয়েছে, ৪৯,৪৫০ টাকা। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ দামের থেকে এখন প্রায় ৯ হাজার টাকা নীচে সোনার দর। তবে এই কমতে থাকার গতি খুব তাড়াতাড়ি থেমেও যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখনই সোনায় বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়।
শুধু সোনা নয়, ইদানীং রুপোর দামও ওঠানামা করছে। তবে এখন রুপোর দাম সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় কিছুটা হলেও বেড়েছে। গত তিন দিন অপরিবর্তি রুপোর দর। সোমবার কলকাতায় এক কেজি রুপোর দর ৬৩, ৬০০ টাকা। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাম ৬১,৭০০ টাকা হয়েছিল।
২০২০ সালে ৫৭ হাজার টপকে যাওয়া সোনার দর মাস কয়েক আগেও ৫০ হাজার টাকার উপরে ছিল। করোনাকালে সেই মূল্যবৃদ্ধির বড় কারণ ছিল লগ্নিপণ্য হিসেবে তার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ধনতেরসের আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে সোনা কেনার প্রবণতা দেখা যায়। সামনেই রয়েছে বিয়ের মরসুম। ফলে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে সোনার চাহিদা বাড়বে। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় এ বার বিকিকিনি ভাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে খুচরো বিক্রেতারা মজুত বাড়ানোর কথা ভাববেন। এর ফলে সোনার চাহিদা ও আমদানি বাড়বে। আর তাতেই আরও কিছুটা নিম্নমুখী হতে পারে সোনা। তবে উৎসবের সময়ে চাহিদা খুব বেশি তৈরি হলেও চাপ রয়েছে। একই হারে জোগান না বাড়লে দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।