প্রতীকী ছবি
অর্থনীতির শ্লথ গতির পরে করোনার ধাক্কা। এই জোড়া কারণে গয়না সোনার চাহিদা মুখ থুবড়ে পড়লেও, নিরাপদ লগ্নিস্থল হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম বাড়ছে চড়চড় করে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, এই ঘটনা শুধু ভারতে নয়, সত্যি সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রেই।
সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে সারা বিশ্বে সামগ্রিক ভাবে সোনার চাহিদা ১১% কমে হয়েছে ১০১৫.৭ টন। এক বছর আগে তা ১১৩৬.৯ টন ছিল। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির বড় অংশ কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গয়না সোনার চাহিদা প্রায় ৫৩% কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সোনা কেনাও। তবে একই সময়ে ইটিএফ লগ্নি প্রকল্পের মাধ্যমে সোনার বিক্রি এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এক বছর আগের তুলনায় ৩০০% বেড়ে তা হয়েছে ৪৩৪.১ টন।
দেশে অবস্থা
•এপ্রিল-জুনে ৬৩.৭ টন সোনা বিক্রি। এক বছর আগে ২১৩.২ টন।
•দামের নিরিখে ৬২,৪২০ কোটি টাকা থেকে কমে ২৬,৬০০ কোটি।
•গয়নার চাহিদা ১৬৮.৬ টন থেকে কমে ৪৪ টন।
প্রায় একই ছবি ভারতেও। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনা বিক্রি প্রায় ৭০% কমে হয়েছে ৬৩.৭ টন। আর সোনা আমদানি কমেছে ৯৫%। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআরের বক্তব্য, লকডাউন আরও শিথিল হয়ে কেনাকাটির অবস্থা তৈরি হলে চাহিদার অবস্থা আরও স্পষ্ট হবে।