General Motors

General Motors: চুক্তি শেষ, বিক্রি হল না জিএম-এর কারখানা

মহারাষ্ট্রের তালেগাঁওয়ে নিজেদের বন্ধ কারখানাটি চিনের গ্রেট ওয়াল মোটরকে বিক্রির পরিকল্পনা থেকে সরে এল আমেরিকার জেনারেল মোটরস (জিএম)।

Advertisement

নয়াদিল্লি

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০৮:১৭
Share:

ফাইল ছবি

মহারাষ্ট্রের তালেগাঁওয়ে নিজেদের বন্ধ কারখানাটি চিনের গ্রেট ওয়াল মোটরকে বিক্রির পরিকল্পনা থেকে সরে এল আমেরিকার জেনারেল মোটরস (জিএম)। ২০২০ সালে এ ব্যাপারে চিনের সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল তারা। দু’বার সময়সীমাও বাড়িয়েছিল দুই পক্ষ। কিন্তু সীমান্ত সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। চিন-সহ স্থলসীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত দেশগুলি থেকে আসা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আনে কেন্দ্র। সেই নীতিতে সরকার অনড় থাকায় খারিজ হয়ে গেল জিএম-গ্রেট ওয়াল চুক্তি।

Advertisement

জিএম জানিয়েছে, আপাতত কারখানা বিক্রি করতে না পারলেও ভারতে ব্যবসার নীতি বদল করবে না তারা। ওই কারখানা কেনার জন্য নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজা হবে। ভারতের বাজারে পা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে চিনের সংস্থাটিও। কেন্দ্র অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

ভারতে জিএম-এর দু’টি কারখানা ছিল। প্রথমটি গুজরাতের হালোলে, অন্যটি মহারাষ্ট্রের তালেগাঁওয়ে। গত দশকের মাঝামাঝি সময়ে গুজরাতের কারখানাটি শাংহাই অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনকে বিক্রি করে দেয় তারা। মহারাষ্ট্রের কারখানাটিতে নতুন করে পুঁজি ঢেলে ভারতে বাজার বাড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু এর পর অর্থনীতি শ্লথ হওয়ায় ধাক্কা লাগে দেশের গাড়ি শিল্পে। ২০১৭ সালে ভারতে গাড়ি বিক্রি বন্ধ করে দেয় জিএম। বন্ধ হয়ে যায় তালেগাঁওয়ের কারখানাটিও। এর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সেটি বিক্রির জন্য গ্রেট ওয়ালের সঙ্গে চুক্তি করে জিএম। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, চুক্তির অঙ্ক ছিল ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা)। পাশাপাশি, কারখানাটি কিনে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল গ্রেট ওয়ালের। কিন্তু সে বছরের মে মাসে গালওয়ানে সীমান্ত সংঘর্ষের পর চিনের বিনিয়োগের উপর কড়াকড়ি বেড়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকটক-সহ প্রায় ৩০০টি চিনা মোবাইল অ্যাপ। ফলে কারখানাটি বিক্রির গোটা প্রক্রিয়া আটকে যায়। দুই সংস্থার মধ্যে চুক্তির সময়সীমা দু’বার বাড়ানো হলেও ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

জিএম ইন্টারন্যাশনালের এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর জর্জ ভিগোসের বক্তব্য, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুমোদন জোগাড় করতে পারিনি। কারখানা বিক্রির বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।’’ তাঁর দাবি, কারখানাটিতে যে পরিকাঠামোয় রয়েছে তাতে গাড়ি উৎপাদন ছাড়াও অন্যান্য অনেক কাজ হতে পারে। সেটিকে সক্রিয় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ তাঁরা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement