প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মূল্যায়ন সংস্থাগুলির আশঙ্কা, এই সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যগুলিকে যে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হচ্ছে তার ফলে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে প্রাথমিক হিসাবের তুলনায় জিডিপি বৃদ্ধির হার কম হবে। কম হতে পারে গোটা অর্থবর্ষের বৃদ্ধিও। এই প্রেক্ষিতেই বণিকসভা সিআইআইয়ের আর্জি, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি সম্মিলিত ভাবে ওমিক্রনের মোকাবিলা করুক। এমন পদক্ষেপ করুক যাতে বৃদ্ধির চাকাকে যতটা সম্ভব গতিশীল রাখা যায়। বুধবার আর এক বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম জানিয়েছিল, ব্যবসার পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হলেও সংক্রমণের বিরূপ প্রভাবের দিকেও নজর রেখেছে তারা।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ জানিয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যগুলি যে সমস্ত বিধিনিষেধ কার্যকর করছে তাতে চলতি ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার ৪০ বেসিস পয়েন্ট কম হতে পারে। তা হতে পারে ৫.৭%। এর আগে ৬.১% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা। মূল্যায়ন সংস্থাটির বক্তব্য, পুরো অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কমতে পারে ১০ বেসিস পয়েন্ট। এর আগে জানুয়ারি-মার্চে প্রাথমিক হিসাবের তুলনায় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪০ বেসিস পয়েন্ট কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক বলেছিল তা ২০-২৫ বেসিস পয়েন্ট কম হবে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট টি ভি নরেন্দ্রন বলেন, ‘‘ওমিক্রনকে ঘিরে অবশ্যই কিছু আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা যা জানি, এটি দ্রুত সংক্রমণ ঘটালেও প্রভাব অনেকটাই কম।... কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি যদি মিলিত ভাবে এর মোকাবিলা করে তা হলে অর্থনীতির উপরে এর বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে।’’ বাজেটে পরিকাঠামোয় সরকারি বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা, জিএসটি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জটিলতা কমানোর আর্জি জানিয়েছেন নরেন্দ্রন।