ফাইল চিত্র।
দেশে তেলের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভর ভারতের খরচ ইতিমধ্যেই অনেকখানি বেড়েছে। আশঙ্কা, আগামী পাঁচ বছরে জ্বালানি খাতে গুনতে হতে পারে আরও প্রায় আড়াই গুণ বেশি টাকা। তাই দীর্ঘ দিন ধরেই ইথানলের মতো বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করার উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই পরিবহণে ব্যবহৃত গাড়ি-বাসে তা কাজে লাগানো শুরু হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানালেন, এ বার কৃষি এবং নির্মাণের কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রের ক্ষেত্রেও ইথানল ব্যবহারের পদক্ষেপ করছেন তাঁরা।
মোদী জমানার আগে থেকেই পেট্রলে ইথানল মেশানোর বিষয়ে আগ্রহী ছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলে কিছু ক্ষেত্রে বিতর্ক থাকলেও, জ্বালানির বিপুল আমদানি খরচ কমাতে তাতে আরও জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিশেষ করে এখন, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেল ব্যারেল পিছু ১০০ ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। আজ এক সভায় গডকড়ী জানান, বিদ্যুৎ এবং পরিবহণ ক্ষেত্রের চাহিদা মেটাতে ভারত এখন বছরে ২০ লক্ষ কোটি টাকার পেট্রোপণ্য বিদেশ থেকে কিনে আনে। আগামী পাঁচ বছরে তা বেড়ে হবে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর কথায়, ‘‘বিকল্প জ্বালানিই ভবিষ্যৎ। বৈদ্যুতিক স্কুটার, গাড়ি এবং বাসের পরে শীঘ্রই আমরা বৈদ্যুতিক ট্র্যাক্টর ও ট্রাক চালু করব।’’ সেই সূত্রেই তিনি জোর দেন ইথানলেও।
গডকড়ী জানান, ডিজ়েল-চালিত কৃষি যন্ত্রের বদলে সেগুলি পেট্রল এবং ‘ফ্লেক্স ইঞ্জিনের’ হওয়া উচিত। সেটা হলে সেগুলি ইথানল দিয়েও চালানো যাবে। পাশাপাশি নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের জ্বালানি হিসাবেও ইথানল ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ভারতে ২০১৪ সালে পেট্রলে ১%-১.৫% ইথানল মেশানো হত। এখন তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি। এ বছরের মধ্যে সেটাই ১০ শতাংশে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র। আর ২০২৫ সালের মধ্যে ২০% করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে তারা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।