প্রতীকী ছবি।
রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্সকে (আরআরভিএল) ব্যবসা বিক্রির জন্য ফিউচার রিটেল যে চুক্তি করেছে, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ বার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল ফিউচার। রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কিশোর বিয়ানির সংস্থাটি। শীর্ষ আদালতের কাছে তাদের আবেদন, জরুরি ভিত্তিতে এর নিষ্পত্তি না-হলে সংস্থা গুটিয়ে দিতে হতে পারে। তাতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ২৮,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ ও ডিবেঞ্চার, প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ। সমস্যায় পড়বে বহু ছোট-মাঝারি সংস্থা।
নিজেদের খুচরো, পাইকারি, গুদাম এবং পণ্য পরিবহণের ব্যবসা বিক্রির লক্ষ্যে মুকেশ অম্বানির সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল ফিউচার। লেনদেনের অঙ্ক ২৪,৭১৩ কোটি টাকা। সেই চুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত থেকে স্থগিতাদেশ আনে আমেরিকার সংস্থা অ্যামাজ়ন। তাদের দাবি, ফিউচার কুপন্সে থাকা অংশীদারির মাধ্যমে তাদের ফিউচার রিটেলেও শেয়ার রয়েছে। অথচ তাদের অন্ধকারে রেখেই আরআরভিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফিউচার গোষ্ঠী। গত ২ ফেব্রুয়ারি রিলায়্যান্স-ফিউচার চুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আর ১৮ মার্চ কড়া নির্দেশ জারি করে জানায়, সালিশি আদালতের নির্দেশ ইচ্ছাকৃত ভাবে কার্যকর করেনি ফিউচার গোষ্ঠী। এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টও জানায়, সালিশি আদালতের নির্দেশ ভারতের আইনে কার্যকর হতে পারে।
সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে তাদের ২ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ মার্চের রায় কার্যকর করা ছাড়া উপায় থাকবে না। যদি না ফিউচার চার সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ আনতে পারে। এই অবস্থায় কার্যত মরিয়া হয়েই আবেদন জানাল ফিউচার।