রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। ফাইল ছবি।
বৃহত্তম পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠীর (অম্বানী, টাটা, বিড়লা, আদানি ও ভারতী) হাতে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকায় ভারতে জ্বালানি ও খাদ্য বাদে বাকি সমস্ত ক্ষেত্রের মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) ধারাবাহিক ভাবে মাথা তুলে রয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। এই একচেটিয়া ক্ষমতাকে কমাতে বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আচার্যের এই বক্তব্যকেই এ বার হাতিয়ার করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। বুধবার বিরোধী দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলিরএকাধিপত্যের ফলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের গবেষণার কথা উল্লেখ করে আচার্য বলেছেন, দেশের বৃহত্তম পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠীর নির্ধারিত দাম প্রতিযোগী সংস্থাগুলির চেয়ে বেশি হয়। কাঁচামালের খরচ বাড়লে সে ক্ষেত্রে পাইকারি বাজারে পণ্যমূল্য অনেকটা বাড়ে। প্রভাব পড়ে খুচরো বাজারেও।
কংগ্রেসের দাবি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর যা বলেছেন তা তাদের বক্তব্যকেই ঠিক বলে প্রতিপন্ন করেছে। রমেশের বক্তব্য, প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের নিরিখে মুনাফার হার ২০১৫ সালের ১৮% থেকে বেড়ে ২০২১ সালের ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বাজারের আর্থিক ক্ষমতা নির্দিষ্ট জায়গায় পুঞ্জীভূত হওয়ার ফলেই এই পরিস্থিতি। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে গুজরাত সরকার আদানি গোষ্ঠীর থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনত ২.৮৩ টাকায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ৮.৮৩ টাকা। রমেশের কথায়, ‘‘আদানি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার ফলে বোঝা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর স্যুট বুটের সরকার পরিকল্পনামাফিক বন্ধু শিল্পপতিদের বাড়তে এবং একচেটিয়া ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করেছে।... এই একচেটিয়া ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সংস্থাগুলি প্রতিযোগীদের তুলনায় দাম নিচ্ছে ১০%-৩০% বেশি।’’