দেশের শিল্পপতিরা লগ্নি করতে নারাজ। এত দিন তাই নরেন্দ্র মোদীর ভরসা ছিল বিদেশি লগ্নি। তাঁর জমানায় এই বিনিয়োগ ফুঁলেফেঁপে উঠেছে বলে বরাবর প্রচারও করেছে এনডিএ সরকার। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট দেখাচ্ছে, ফানুস ফুটো হচ্ছে সেই গর্বেরও। প্রধানমন্ত্রী যতই বিদেশ সফরে গিয়ে ভারতের অর্থনীতির জয়গান করুন, ২০১৭ সালে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির পরিমাণ ২০১৬ সালের তুলনায় ৪০০ কোটি ডলার কমেছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ৪,৪০০ কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি এসেছিল। আর ২০১৭ সালে তা ৪,০০০ কোটি। তার থেকেও চিন্তার, নতুন প্রকল্পে বা কল-কারখানা তৈরিতে বিদেশি লগ্নি কমা। ২০১৬ সালে নতুন প্রকল্পে প্রস্তাবিত বিদেশি লগ্নি ছিল ৬,১০০ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে তা ২,৬০০ কোটি। বরং এ দেশ থেকে বাইরে লগ্নির প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী।
রিপোর্টে স্পষ্ট, বিদেশি লগ্নি যা এসেছে, তার বেশিরভাগটাই দেশি-বিদেশি সংস্থার মধ্যে চুক্তিতে। যেখানে দেশীয় সংস্থার শেয়ার হাতে নিয়েছে বিদেশি সংস্থা। ওই খাতে লগ্নির অঙ্ক ৮০০ কোটি ডলার থেকে ২,৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।