প্রতীকী ছবি।
বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। চড়া খুদ-ও। তার উপর অনাবৃষ্টিতে ধানের চাষ কম হওয়ায় খরিফ মরসুমে উৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে। দেশে জোগানে টান পড়া ও তার জেরে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় প্রথমে বাসমতী ও সিদ্ধ বাদে বিভিন্ন চাল রফতানিতে তাই রাশ টেনেছিল কেন্দ্র। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার খাদ্য মন্ত্রক খুদ বা ভাঙা চাল রফতানিতে বসাল নিষেধাজ্ঞা।
এর আগে কেন্দ্র গম রফতানিও বন্ধ করেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব বাজারে গমের অভাব দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিশ্বের মুখে ভারতই অন্ন জোগাবে বলে বড়াই করেছিলেন। কিন্তু ফলন নষ্ট হওয়ায় দেশে উৎপাদন মার খায়। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার চাপ ও সমালোচনা সত্ত্বেও গম রফতানিতে বসে নিষেধাজ্ঞা। খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, খরিফে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ চারটি প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্যে অনাবৃষ্টির জেরে চালের উৎপাদন কমবে। কতটা কম, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তুঙ্গে। শুক্রবার সকালে খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে বলেন, ১-১.২০ কোটি টন কম হওয়ার আশঙ্কা। সন্ধ্যায় খাদ্য মন্ত্রকের ইঙ্গিত ৪০-৫০ লক্ষ থেকে ৬০-৭০ লক্ষ টন। তাই বাসমতী ও সেদ্ধ চাল বাদে বাকিগুলিতে ২০% রফতানি শুল্ক বসানো হয়েছে। এ বার খুদ রফতানিও বন্ধ হল। আশা, এতে দাম কমবে।
আফ্রিকার কিছু গরিব দেশ ভারত থেকে খুদ কেনে। বৃহত্তম ক্রেতা চিন। বিশ্ব বাজারে চাল রফতানির ৪২% যায় এ দেশ থেকে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপে চড়বে সেখানে খাদ্যের দাম। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, দেশে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং খাদ্য সুরক্ষা আইনে দরিদ্রদের সস্তায় শস্য জোগানোই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।