প্রকাশ: ইজ় ৩.০ ব্যাঙ্কিং সংস্কারের কর্মসূচি হাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নয়াদিল্লিতে বুধবার। পিটিআই
বিপুল অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য। তার উপরে একাধিক ব্যাঙ্কে প্রতারণার ঘটনা সামনে আসাতেও উদ্বেগ বেড়েছে। ফলে কমেছে ব্যাঙ্ক ঋণের জোগান। বিপাকে পড়েছে শিল্প। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি গ্রাহক টেনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর বার্তা দিয়ে বুধবার ইজ় ৩.০ কর্মসূচি প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে আরও বেশি প্রযুক্তির হাত ধরে অতি সহজে ঋণ বিলি-সহ সমস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের চৌকাঠে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হল। বলা হল, অ্যানালিটিক বা বিশ্লেষণ ভিত্তিক ব্যবস্থার মারফত ঋণের ঝুঁকি কমানোর কথা। ব্যাঙ্কের শাখাগুলিকে গ্রাহক যোগাযোগ পোক্ত করার নির্দেশও দিলেন নির্মলা। সওয়াল করলেন পরিষেবায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছোঁয়া এনে মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলার।
এ দিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তাদের জন্যও আশ্বাস এসেছে অর্থমন্ত্রীর তরফে। তিনি বলেছেন, ‘‘কেউ যদি সততার সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে শাস্তি পাওয়ার ভয় নেই, জবাবদিহিও চাওয়া হবে না। এমনকি কোনও ব্যবসায়িক কারণে সিদ্ধান্ত যদি ভুল হয়ে যায়, তা হলেও।’’ তবে সব কিছু খতিয়ে দেখে নেওয়া সিদ্ধান্ত আর নজরদারিতে তেমন আমল না-দেওয়া, এই দুইয়ের ফারাক যে সরকার করছে, এ কথাও এ দিন স্পষ্ট করেছেন নির্মলা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাঠামো ও পরিষেবার উন্নতি করতে ২০১৮ সাল থেকে ‘ইজ়’ কর্মসূচি প্রকাশ করছে কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এল ‘ইজ়-৩.০’ কর্মসূচি। কেন্দ্রের দাবি, আগের দু’টি কর্মসূচি ব্যাঙ্কগুলির সংস্কারের ভিত গড়ে দিয়েছিল। তৃতীয় দফার লক্ষ্য, তাদের ভবিষ্যতের ব্যাঙ্ক হয়ে ওঠার জমি তৈরি। সেই সূত্রেই বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল পরিষেবা, কৃত্রিম মেধা ও আর্থিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মতো বিভিন্ন ব্যবস্থায়। যার মাধ্যমে ঋণ বণ্টনের প্রক্রিয়া সহজ হবে। পরিষেবাকে সহজে গ্রাহকদের দরজায় পৌঁছে দেওয়া যাবে।
তবে শাখা স্তরে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যে গ্রাহক যোগাযোগ কমেছে, এ দিন এই অভিযোগও তুলেছেন অর্থমন্ত্রী। আর তার দাওয়াই হিসেবেই বাতলেছেন, পরিষেবায় ব্যক্তিগত ছোঁয়া ফিরিয়ে আনার কথা।