সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লিপকার্ট শুধু অ্যাপ-এই

আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুধুমাত্র পুরদস্তুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)-এর মাধ্যমে পণ্য বেচবে ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। বন্ধ হয়ে যাবে তাদের ওয়েবসাইট। এর আগে একই পথে হেঁটেছে তাদেরই শাখা এবং আর এক ই-কমার্স সংস্থা মিন্ত্রা। এ বার সেই দিকেই এগোনোর কথা জানাল ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় নেটে কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্টও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫ ০২:৪৫
Share:

আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুধুমাত্র পুরদস্তুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)-এর মাধ্যমে পণ্য বেচবে ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। বন্ধ হয়ে যাবে তাদের ওয়েবসাইট। এর আগে একই পথে হেঁটেছে তাদেরই শাখা এবং আর এক ই-কমার্স সংস্থা মিন্ত্রা। এ বার সেই দিকেই এগোনোর কথা জানাল ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় নেটে কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্টও। গত সপ্তাহেই এক বৈঠকে কর্মীদের এ কথা জানিয়েছেন ফ্লিপকার্টের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পুনীত সোনি।

Advertisement

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ফ্লিপকার্টের দাবি, গত কয়েক মাস ধরেই মোবাইলের মাধ্যমে পণ্য কেনার চাহিদা বাড়ছে ভারতে। আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত। ফ্লিপকার্টেও ৭০-৭৫ শতাংশ ক্রেতাই অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য বাছাইয়ের সুযোগ নিচ্ছেন। যে কারণে এই উদ্যোগ। তবে আপাতত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ- উভয় ব্যবস্থাই চালু রাখছে তারা।

যদিও ফ্লিপকার্টের এই উদ্যোগের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই মনে করছেন, এখনও ক্রেতাদের বড় অংশ বিভিন্ন সাইটে পণ্য এবং তার দাম তুলনায় করেই তা কেনা পছন্দ করেন। অ্যাপের ক্ষেত্রে যে সুবিধা নেই। কম্পিউটারের বড় স্ক্রিনে যেখানে সহজে পণ্যের খুঁটিনাটি বোঝার সুবিধা রয়েছে, সেখানেই মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে সমস্যা হয় বলেও তাঁদের দাবি। মোবাইলের ক্ষেত্রে রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যাও। আবার একাংশের মতে, বহু মানুষই নিজেদের মোবাইলে ১৯-২০টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। প্রয়োজন মতো বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করা এবং মুছে দেওয়াও সহজ। এই অবস্থায় শুধুমাত্র অ্যাপ-এর উপর নির্ভর করে ব্যবসা চালানো কতটা লাভজনক হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement