প্রতীকী ছবি।
ভারতে সার্বিক খুচরো ব্যবসার মাত্র ৩.৪% এখন ই-কমার্স সংস্থাগুলির দখলে থাকলেও, নেট বাজারে কেনাকাটার ঝোঁক দ্রুত বাড়ছে। ফ্লিপকার্টের দাবি, এই চাহিদা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। তাই রাজ্যের হরিণঘাটায় দেশের বৃহত্তম ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’ (পণ্যের আধুনিক মজুত ভান্ডার ও জোগান কেন্দ্র) চালু করেছে তারা। বছর তিনেকের মধ্যে আরও সম্প্রসারণ হবে। সব ঠিকঠাক চললে লগ্নি হবে অন্তত ১৫০০ কোটি টাকা।
বছর তিনেক আগে এই মজুত ভান্ডার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ফ্লিপকার্ট। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০২০-র মধ্যে সেটি চালুর আশা প্রকাশ করেছিলেন। সংস্থা কাজ শুরুও করেছিল। অতিমারির জেরে কিছুটা পিছিয়ে যায়। গত বছর প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পরে এ বছর রাজ্যের শিল্প সম্মেলন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ওই কেন্দ্রের।
শুক্রবার সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফ্লিপকার্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হেমন্ত জি বদ্রি জানান, ২০ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকা নিয়ে গড়া কেন্দ্রটির প্রথম পর্যায় লগ্নির অঙ্ক প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। আপাতত ছ’টি ক্ষেত্রের পণ্য সেখান থেকে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে। দেশেদু’তিন বছরে এমন তিনটি পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা। একটি হরিণঘাটায় দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণ প্রকল্প। লগ্নি হবে আরও প্রায় ১৫০০-২০০০ কোটি। অন্য দু’টি উত্তর ভারতের মানেসর ও দক্ষিণ ভারতে।
রাজ্য এবং ফ্লিপকার্টের বার্তা ছিল, হরিণঘাটায় বিপুল কর্মসংস্থান হবে। শুক্রবার সেখানে কর্মরত স্থানীয় বাসিন্দা সোমা রায় জানান, বাংলায় স্নাতকোত্তরের পাঠ চুকিয়ে প্রশিক্ষণের পরে চাকরি পেয়েছেন। আর এক কর্মী কৌশিক রায় মূক ও বধির। সংস্থার দাবি, এমন বহু মানুষকে কাজ দিচ্ছে তারা। হরিণঘাটায় কর্মী প্রায় ৩৫০০। উৎসবের মরসুমে ৮০০০ ছুঁতে পারে। একাংশ সাময়িক নিয়োগ হলেও ভবিষ্যতে সংস্থায় কাজের সুযোগ থাকে। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পেই ১১,০০০ কর্মসংস্থান হতে পারে।