প্রতীকী ছবি
ক্রিসিল যা বলেছিল আগের দিন, বুধবার তা-ই বলল আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। টানা ন’সপ্তাহের লকডাউন। ধীরে ধীরে আর্থিক কর্মকাণ্ডের দরজা খুললেও, অর্থনীতির চাকায় গতি ফিরতে সময় লাগা। এবং তার জেরে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির সরাসরি ৫% সঙ্কোচনের আশঙ্কা। ক্রিসিল অবশ্য সব থেকে ভয়ানক মন্দার পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছে উপদেষ্টা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স ও ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিটের মতো। পাশাপাশি এ দিনই এক সাক্ষাৎকারে দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। বলেছেন সব থেকে চিন্তার ব্যাপার, লকডাউনের ধাক্কায় বহু ছোট-মাঝারি সংস্থা বন্ধ হতে পারে। আর সেই বাজার দখল করতে পারে বড় সংস্থা।
তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর এক প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের আশা, পরের অর্থবর্ষে ফের ৫% বৃদ্ধি হতে পারে ভারতীয় অর্থনীতির। কারণ, করোনা সঙ্কট প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। দেশের পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষত রয়েছে। শুধু চালু হওয়ার অপেক্ষা।
ফিচের রিপোর্ট বলেছে, শুরুতে যা ভাবা হয়েছিল ভারতে লকডাউনের মেয়াদ তার থেকে বেড়েছে। তা পালনও হচ্ছে কঠোর ভাবে। ফলে অর্থনীতির সব পরিসংখ্যানই দুর্বল। এই অবস্থায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতির বহর সরাসরি ৫% কমতে পারে। ০.৮% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল ফিচের গত মাসের সমীক্ষায়। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিও ৪.৬% সঙ্কুচিত হতে পারে। ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াতে পারে ৬ লক্ষ কোটি ডলার। চিন বাদে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনীতির বহর কমতে পারে ৪.৫%।