Fitch Ratings

ঋণে আশঙ্কা, উন্নতি নেই মূল্যায়ন

ফিচ বলেছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারত বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির তকমা ধরে রাখবে। সেই হার থাকতে পারে ৭.২ শতাংশের কাছে। পরের অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) নামতে পারে ৬.৫ শতাংশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গত মে মাসে আমেরিকার মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস ভারতের ক্রেডিট রেটিং বা মূল্যায়ন ঋণযোগ্যতার সর্বনিম্ন স্তরে (BBB-) অপরিবর্তিত রাখলেও দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্থিতিশীল’ থেকে বাড়িয়ে ‘ইতিবাচক’ করেছিল। আজ আর এক আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ এ দেশের অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গিও ‘ইতিবাচক’-এ অপরিবর্তিত রাখল। সেই সঙ্গে মূল্যায়নও লগ্নিযোগ্যতার শেষ ধাপ ‘BBB-’ থেকে বাড়াল না। বরং অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা টেনে আশঙ্কা প্রকাশ করল ভারতের ঋণের বোঝা এবং জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় আর্থিক সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কোনও সংস্থা বা দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকির, তারই মূল্যায়ন ক্রেডিট রেটিং। যত ভাল রেটিং, ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি তত কম। তাই তা বাড়লে, কম সুদে ধার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, কমলে বাড়ে সুদের বোঝা। ভারতের রেটিং এখন ঋণযোগ্যতার সবচেয়ে নীচে। এই নিয়ে অবশ্য সরকার বারবার আপত্তির কথা জানিয়েছে। তবে অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক মানে বুঝতে হবে, মূল্যায়ন বাড়ার সম্ভাবনা খোলা।

আজ ফিচ বলেছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারত বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির তকমা ধরে রাখবে। সেই হার থাকতে পারে ৭.২ শতাংশের কাছে। পরের অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) নামতে পারে ৬.৫ শতাংশে। রাজস্ব, রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যের মধ্যে ধরে রাখা এবং বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভারতের অংশীদারি ইতিবাচক। কিন্তু ঋণের বোঝা এবং ঋণ শোধের ক্ষমতার দিক থেকে একই মূল্যায়নের অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে এ দেশ। বাজারে চাহিদার উন্নতি না হলে বেসরকারি লগ্নি আসা মুশকিল। তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে কর্মসংস্থানে। ফিচের আরও বক্তব্য, জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যে কেন্দ্র আর্থিক সংস্কার জারি রাখতে পারে কি না, সে দিকে তাদের নজর থাকবে। চোখ থাকবে জমি এবং শ্রম ক্ষেত্রের সংস্কারে রাজ্যের ভূমিকাতেও। কারণ আর্থিক বৃদ্ধির জন্য সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

এ দিনই মুডি’জ় রেটিংয় ২০২৪ ক্যালেন্ডারবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৮% থেকে বাড়িয়ে ৭.২% করেছে। ২০২৫-এর ক্ষেত্রে ৬.৪% থেকে বাড়িয়ে করেছে ৬.৬%। সাধারণ মানুষের কেনাবেচা বৃদ্ধিই মূল কারণ বলে দাবি তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement