মঙ্গলবার ডলারের দাম ৩৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮১.৮৮ টাকা। প্রতীকী ছবি।
ডলারে টাকার দাম আরও পড়ার ইঙ্গিত আর্থিক সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজার না শোধরালে রফতানি ঝিমিয়ে থাকবে। আমদানি খাতে খরচ বৃদ্ধির জেরে চওড়া হতে পারে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি। সরকারের এই বার্তায় ছড়িয়েছে উদ্বেগ। মঙ্গলবার ডলারের দাম ৩৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮১.৮৮ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এখনও চড়া। ফলে দেশে চাহিদা বাড়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাহিদা ঝিমিয়ে থাকায় রফতানি দুর্বল। তাই চলতি খাতে ঘাটতি বাড়ছে। তাঁদের দাবি, মনমোহন জমানার দ্বিতীয় ইনিংসে এই ঘাটতি ইউপিএ সরকারের ঘুম কেড়েছিল। মোদী জমানার দ্বিতীয় দফাতেও যে তা আশঙ্কার কারণ, তা স্পষ্ট সমীক্ষাতেই। আমদানিকারীদের মতে, টাকা আরও পড়লে খরচের ধাক্কায় ভোগান্তি বাড়বে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘আর্থিক বৃদ্ধি দেশ-বিদেশের চাহিদার উপর নির্ভর করে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে চাহিদা কমছে। তাই রফতানি মার খাওয়ায় বৃদ্ধি নিয়ে ঝুঁকি থাকছেই। যা বাড়ছে চলতি খাতে ঘাটতি বাড়ার দরুন টাকার দাম কমায়।’’ অর্থনীতির অধ্যাপক মহানন্দা কাঞ্জিলালের দাবি, ‘‘আমদানি-রফতানির প্রভাব মূল্যবৃদ্ধি এবং সুদের হারেও পড়ে। চড়া আমদানি খরচ বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ফলে অর্থনীতির চিন্তা বহাল।’’