ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিক্রয়যোগ্য সম্পত্তির হিসেব জোগাড় করার নির্দেশ দিল অর্থ মন্ত্রক। লক্ষ্য, ওই সব সম্পত্তি বিক্রি করে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করা।
সম্পত্তি বিক্রির জন্য সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রীয় লগ্নি এবং সরকারি সম্পদ পরিচালন বিভাগ (ডিআইপিএএম) ইতিমধ্যেই ১১টি পরামর্শদাতা সংস্থাকে তলিকাভুক্ত করেছে। তাদের কাজ হবে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (সিপিএসই), রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (পিএসইউ) এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার জমি ও অন্য সম্পত্তি বিক্রির ব্যবস্থা করা। যে সব সম্পত্তি বিক্রি করা হবে, তার মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার আবাসন ও শত্রু সম্পত্তিও (এনিমি প্রপার্টি) রয়েছে।
সম্পত্তি বিক্রির পথে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয়, তা পুরো নিশ্চিত করতে চায় ডিআইপিএএম। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রককে তাদের নির্দেশ, নিজের নিজের আওতায় থাকা সংস্থাগুলি যাতে সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে পর্ষদ অনুমোদিত পরিকল্পনা তৈরি করে, তার ব্যবস্থা করা হোক অবিলম্বে।
বস্তুত, চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণ করে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় রাজস্ব ক্ষতি হবে জেনেও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কর্পোরেট কর কমানো-সহ নানা পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম সম্প্রতি আশ্বাস দিয়েছেন এই অর্থবর্ষে আরও কিছু সংস্কার করা হবে। তাই এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের পথে হেঁটে ওই টাকা তোলার পাশাপাশি কেন্দ্র আরও ১ লক্ষ কোটি পেতে চায় সরকারি সংস্থার অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি বেচে। যাতে রাজস্ব কমলে বা খরচ বাড়লেও রাজকোষ ঘাটতি বেলাগাম না হয়। তাকে জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধে রাখতে অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।