অসুখ সারানোর চেয়ে ভাল আগেভাগে সাবধান হওয়া।
এই নীতি মেনে এ বার কেলেঙ্কারি সামনে আসার আগেই কাজকর্মে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে তৈরি থাকতে বলল অর্থ মন্ত্রক। ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়ার আগাম পরিকল্পনা জানাতে মঙ্গলবার ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল। পাশাপাশি, অনুৎপাদক সম্পদের কোনও অ্যাকাউন্ট ৫০ কোটি টাকা ছাড়ালেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে দেখতে হবে, তাতে প্রতারণা হয়েছে কি না। সেই মতো তা জানাতে হবে সিবিআইকে।
পিএনবি-র ১২,৭১৭ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া এবং সাধারণ ভাবে অনুৎপাদক সম্পদের ভারে ব্যাঙ্কিং শিল্প ধুঁকতে থাকার কারণেই হুঁশ ফিরেছে অর্থ মন্ত্রকের। আর সেই কারণেই হুঁশিয়ারি পরীক্ষার এই নির্দেশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সরকারি সূত্রের খবর, বাজেটে ব্যাঙ্কিং শিল্পের আমূল সংস্কার প্রস্তাবের আওতায় এই নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।
আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত সচিব রাজীব কুমারের টুইট, ‘‘বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং চিফ টেকনোলজি অফিসারদের এই পরিকল্পনার নীল নকশা তৈরি করতে হবে। সেখানেই তাঁরা জানাবেন, বাড়তে থাকা ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগাম প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া হবে।’’ জানাতে হবে সাধারণ ও প্রযুক্তি নির্ভর কাজে কোথায় কোথায় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ত্রুটি বা দুর্বলতা রয়েছে। কাজের সেরা মাপকাঠি কী হতে পারে, তা চিহ্নিত করা ও কাজের কৌশল ঠিক করা। এ ছাড়া প্রথম সারির ব্যাঙ্ক-কর্তাদের নিজেদের কাজের ব্যাপারে সরাসরি জবাবদিহির শর্ত রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
কে জাগে!
•
ঝুঁকির মোকাবিলায় সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কতটা তৈরি, জানাতে হবে পনেরো দিনে
•
পরিকল্পনার নীল নকশা তৈরির দায়িত্ব চিফ টেকনোলজি অফিসার ও এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টরদের
•
খতিয়ে দেখতে হবে দুর্বলতা। খুঁজতে হবে প্রযুক্তির ফাঁকও
•
অনুৎপাদক সম্পদ ৫০ কোটি ছাড়ালেই দেখতে হবে তা জালিয়াতি কি না। খতিয়ে দেখা জরুরি যে, তা স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপ কি না
•
জালিয়াতির অঙ্ক ৫০ কোটি ছাড়ালেই তা সিবিআইয়ের নজরে
•
প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়া যাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-সহ অন্যান্য তদন্ত সংস্থারও
•
এ সব ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না সিনিয়র অফিসাররা। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পরিচালন পর্ষদকেই