ব্যাঙ্ক মারফত স্বর্ণ জমা প্রকল্প চালু করার পথে এগোল কেন্দ্রীয় সরকার।
ঘরে ঘরে বা লকার-বন্দি হয়ে পড়ে থাকা সোনা কাজে লাগাতে ও সোনা আমদানির উপর রাশ টানতে বাজেটে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মঙ্গলবার আনা খসড়া প্রস্তাব অনুসারে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কমপক্ষে ৩০ গ্রাম সোনা জমা দিয়েই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন ব্যাঙ্কে। এক দিকে, তার উপর সুদে কোনও আয়কর চাপানো হবে না, অন্য দিকে তা মূলধনী লাভকরের আওতাতেও আসবে না। প্রথম দফায় কিছু বাছাই করা শহরে এই জমা প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। জমা দেওয়া গয়না বা সোনা গলিয়ে তা বিক্রি করবে বা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ঋণ দেবে ব্যাঙ্ক।
আগামী ২ জুন পর্যন্ত আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই খসড়ার উপর মতামত চেয়েছে অর্থ মন্ত্রক। প্রকল্প চালু হলে লগ্নিকারী যে-সব সুবিধা পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে:
• সোনা জমা রেখে সংস্থা বা ব্যক্তি সুদ নিতে পারবেন টাকায় বা সোনায়।
• সুদ মিলবে অ্যাকাউন্ট খোলার ৩০ বা ৬০ দিনের মধ্যে।
• ভারতীয় মানক ব্যুরো বা বিআইএস-কে দিয়ে জমা দেওয়ার আগে সোনার মূল্যায়ন করানো যাবে।
• জমা কমপক্ষে হবে ১ বছরের।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে অলস ভাবে পড়ে রয়েছে ২০ হাজার টন সোনা, যা লেনদেন বা বিক্রি করা হয় না। এখনকার বাজার দরে তার মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ কোটি টাকা। ব্যক্তি বা সংস্থা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সোনা গচ্ছিত রয়েছে মন্দির বা কোনও কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে। অন্য দিকে, প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা গুনে ভারতকে আমদানি করতে হয় ৮০০ থেকে ১০০০ টন সোনা। পড়ে থাকা সোনা ব্যবহার করা গেলে ওই আমদানি কমবে বলে আশা কেন্দ্রের।
সোনা ব্যবসায়ীরাও এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলে জমার সাপেক্ষে ঋণ পাবেন। পাশাপাশি, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তার বাধ্যতামূলক নগদ জমার অনুপাত বা সিআরআরের শর্ত পূরণ করতে স্বর্ণ জমা প্রকল্পে থাকা আমানত কাজে লাগাতে পারবে। এসএলআর বজায় রাখার জন্যও একই ভাবে তা কাজে লাগানো যাবে বলে খসড়ায় জানানো হয়েছে।