নাম না করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্কে ঋণ চাইতে গেলে সেই পদ্ধতি যে নমনীয় হয় না, এমন অভিযোগ গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের। অর্থনীতির গতি বাড়াতে তিন-চার বছর ধরে কেন্দ্র ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের রাস্তা প্রশস্ত করতে বললেও পুরনো ধারণায় যে খুব বদল হয়েছে এমন নয়। সোমবার শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি ফের মনে করিয়ে কড়া বার্তা দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ঋণের পদ্ধতি যাতে সমস্যাবিহীন হয় সে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। তবে তা মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর যোগ্যতামানের সঙ্গে যাতে আপস করা না হয়, সে নিয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
আজ বৈঠকে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি স্টার্ট-আপ সংস্থার মহিলা প্রতিষ্ঠাতা আর্জি জানান, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝক্কি কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হোক ব্যাঙ্কগুলি। তার প্রেক্ষিতে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান দীনেশ খারার বক্তব্য, স্টার্ট-আপের ক্ষেত্রে মূলধনের ভিত শক্তিশালী কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তবে তা থাকলে ঋণ পেতে সমস্যা হবে না। পরে এই প্রসঙ্গে তিনি ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। যদিও দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের কর্ণধারের এই উত্তর মন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ব্যাঙ্কগুলির মনোভাবের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন, আবেদনকারী এক জন মহিলা ও নতুন উদ্ভাবনীমূলক একটি শিল্প ক্ষেত্রের প্রতিনিধি। নির্মলা বলেন, ‘‘প্রথমে মিস্টার খারা বেশ গোল-গোল উত্তর দিয়েছেন। তার পরে যে প্রকল্পের কথা বলেছেন তাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।... ব্যাঙ্কগুলিকে গ্রাহকদের সঙ্গে আরও নমনীয় হতে হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে হবে।’’
আজ জিএসটির প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে নাম না করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। রাহুল জিএসটিকে ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ বলেছিলেন। সেই মন্তব্যকে ‘অবিবেচকের মতো কথা’ এবং এর মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠানকে অপমান করা হয়েছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেন নির্মলা। বলেন, ‘‘বুঝে হোক কিংবা না বুঝে, যখন আমরা প্রচারের উদ্দেশ্যে জিএসটিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করি, তখন আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করি যা তৈরি হয়েছে রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়েই।’’