প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত টেলি শিল্পকে শুক্রবার অভয় দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানালেন, তাদের সমস্যা সমাধানে ইচ্ছুক কেন্দ্র। তবে ত্রাণ প্রকল্প প্রসঙ্গে একটা কথাও উচ্চারণ করলেন না। যে ত্রাণের আর্জি জানিয়ে সরকারের কাছে দরবার করেছে এই শিল্পের সংগঠন সিওএআই। যে ত্রাণ না-পেলে কিছু সংস্থার ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে এই শিল্পেরই একাংশ। চর্চা শুরু হয়েছে, আগামী দিনে দেশে কারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে? তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, শুধু পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েই কেন হাত ঝাড়লেন অর্থমন্ত্রী? যেখানে বিপুল আর্থিক বোঝায় লোকসানে একাধিক সংস্থা?
নির্মলার অবশ্য আশ্বাস, কেন্দ্র চায় না দেশে কোনও সংস্থার ব্যবসা বন্ধ হোক। বরং অর্থনীতি এমন হোক, যাতে অনেক সংস্থা ব্যবসা করতে পারে ও তাদের উন্নতি হয়। তিনি বলেন, এই বার্তা শুধু টেলিকম নয়, সমস্ত শিল্পের সব সংস্থার জন্যই।
রিলায়্যান্স জিয়ো পরিষেবা চালুর পরে শুরু মাসুল যুদ্ধ হালে কিছুটা থিতিয়েছিল। কিন্তু কল সংযোগ বাবদ ধার্য ইন্টারকানেক্ট ইউসেজ চার্জ (আইইউসি) তোলা নিয়ে জিয়ো ও পুরনো সংস্থাগুলির দ্বন্দ্ব এবং সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পরে তাদের ঘাড়ে দীর্ঘ দিনের বিপুল বকেয়া মেটানোর দায় চাপার পরে শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে ভারতে ব্যবসা করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ব্রিটিশ ভোডাফোনের শীর্ষ কর্তাও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নির্মলার এ দিনের বার্তা হয়তো সেই কারণেই।
সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম দফতরের হিসেব মেনে নিয়ে সম্প্রতি লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ কেন্দ্রকে বিপুল বকেয়া মেটাতে বলেছে টেলি সংস্থাগুলিকে। সেই অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বড় লোকসান গুনেছে এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও আর-কম। তবে এ দিন নির্মলার দাবি, বকেয়া নিয়ে তাড়াহুড়ো করছেন না। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে শিল্পের অবস্থা খতিয়ে দেখে মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেবে।