—প্রতীকী চিত্র।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক কিংবা নিষেধাজ্ঞার পাঁচিল, প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, কম কর্মী, জোগানে ধাক্কা, বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি— এই সব কারণে আগামী কয়েক বছর সারা বিশ্বেই মূল্যবৃদ্ধির চাপ বজায় থাকবে। বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষে তাকে লক্ষ্যের মধ্যে বেঁধে রাখা হবে আরও কঠিন। আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের দু’দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে সকলের বক্তব্য এবং বিভিন্ন গবেষণাপত্রে স্পষ্ট হয়েছে এমন আশঙ্কার কথা।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের কথায়, ‘‘জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা কোভিডের আগের তুলনায় অন্য রকম। লগ্নির চাহিদার পাশাপাশি যদি সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা থাকে, তা হলে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কাও বজায় থাকবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি ফের মাথা তুলছে ভারতেও। চিন্তিত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে প্রয়োজনে ফের সুদ বৃদ্ধির বার্তাও দিয়েছে।
অতিমারি ধাক্কা সামলে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন যুদ্ধের জেরে জোগান ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। যা ইতিমধ্যেই বহু স্বল্প এবং সাধারণ রোজগেরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, সেই সঙ্কট এখনও কাটেনি।