India

চিনা পণ্য বয়কটের কথায় শঙ্কা বন্দরে

লকডাউনে এমনিতেই আমদানির কাহিল অবস্থা। এর পরে চিনা পণ্যে চড়া শুল্ক বসলে কলকাতা বন্দরের ব্যবসা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা কর্তাদের একাংশের।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি

চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ চলছে দেশ জুড়ে। চেন্নাই বন্দরে গত সপ্তাহে আটকানো হয়েছে চিন থেকে আসা ৩০টি কন্টেনার। চিনের পণ্যে চড়া শুল্ক বসানো নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে কথা হচ্ছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে কলকাতা বন্দর। কারণ, কলকাতা ডকে বছরভর যে পণ্য আমদানি হয়, তার ২০%-২৫% চিনের। শনিবারেও যে ১৬০০ কন্টেনার আমদানি হয়েছে, তার প্রায় ৩৫০টিই চিন থেকে। রফতানির অপেক্ষায় ৫০০০ কন্টেনার। লকডাউনে এমনিতেই আমদানির কাহিল অবস্থা। এর পরে চিনা পণ্যে চড়া শুল্ক বসলে কলকাতা বন্দরের ব্যবসা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা কর্তাদের একাংশের।

Advertisement

বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, ‘‘চিন থেকে আসা সমস্ত পণ্য যাচাই করার সরকারি নির্দেশ আসেনি। কাস্টমস নিজেদের মতো পরীক্ষা করছে। চিন থেকে পণ্য আসা কমলে বন্দর সচল রাখতে বিকল্প ভাবতে হবে। তবে এখনও আমদানি-রফতানিতে বিশেষ প্রভাব পড়েনি।’’

বন্দর সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটানের জন্য সারা বছরের পণ্য কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে। চিন থেকে আসা বেশিরভাগ পণ্যের কন্টেনার কলকাতাতেই সরাসরি নামে। বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও আমদানি হয় বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল। আর এই দুই বন্দর থেকে চিনে প্রধানত রফতানি হয় আকরিক লোহা, পেলেট, কিছু ইস্পাত সামগ্রী। চলতি সঙ্কটে তা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা বন্দরের কর্তাদের।

Advertisement

কর্তারা জানাচ্ছেন, লকডাউন ওঠার পরে এখন কলকাতা বন্দরে রফতানির পরিমাণ বেশি। কারণ, বিদেশ থেকে বরাত দেওয়ার পরে সেই পণ্য কলকাতায় আমদানি হতে দেড়-দু’মাস সময় লাগে। আড়াই মাস লকডাউনে আমদানির বরাত বাতিল হয়েছিল। এখন তা শুরু হয়েছে। ফলে আশা ছিল, অগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে ফের তা আগের জায়গায় পৌঁছবে। কিন্তু ভারত-চিন উত্তেজনায় চিনের পণ্য নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন আমদানিকারীরা। ফলে আগামী ক’মাস কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে ধাক্কা লাগবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: সময় না-বাড়লে কাল থেকে বন্ধ ব্যাঙ্কের সুবিধা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement