প্রতীকী ছবি
গত পাঁচ বছরে সব থেকে কম হারে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াল মোদী সরকার।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২০-২১ মরসুমের জন্য খরিফ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নির্ধারণ করেছে। ধানের সহায়ক মূল্য ঠিক হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১,৮৬৮ টাকা। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি মাত্র ৫৩ টাকা বা ২.৯ শতাংশ। গত বছরও ধানের এমএসপি বেড়েছিল প্রায় ৩.৭ শতাংশ হারে। পাশাপাশি, মুগ, অড়হর, জোয়ার, বাজরা থেকে সয়াবিন— অধিকাংশ খরিফ ফসলের সহায়ক মূল্যই গত বছরের তুলনায় সামান্য হারে বেড়েছে বলে কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, বাজারদর যে পরিমাণে বেড়েছে, তার থেকেও কম পরিমাণে এমএসপি বাড়ানো হয়েছে।
আজ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের জন্য চাষের খরচের দেড় গুণ ফসলের দাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সরকার রক্ষা করেছে।’’ কিন্তু কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার বক্তব্য, ‘‘চাষের খরচের দেড় গুণ ফসলের দাম হলে ধানের এমএসপি হওয়া উচিত ছিল ২৪২৮ টাকা। আর আমাদের হিসেবে সব খরচ ধরলে সেটা ২৫৮৩ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু সরকার দিচ্ছে মাত্র ১,৮৬৮ টাকা।’’
আরও পড়ুন: দু’দশক পরে ভারতের মূল্যায়ন ছাঁটল মুডি’জ
কৃষক সংগঠনগুলির যুক্তি, এমনিতেই টোম্যাটোর মতো ফসলের দাম কমে যাওয়ার চাষিরা মার খেয়েছেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খরিফ ফসলের দাম বাড়ছে ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে। এতে চাষিদের মুখে হাসি ফুটবে না। স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘চাষের খরচ মিটিয়ে ১০ শতাংশের মতো লাভ থাকবে চাষিদের। ধানের দাম এত কম হারে বৃদ্ধি ধাক্কা দেবে। কারণ, সরকার এমএসপি-তে একমাত্র ধানই যথেষ্ট পরিমাণে কিনবে।’’
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের অবশ্য দাবি, কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশনের সুপারিশ মেনেই ১৪টি খরিফ ফসলের এমএসপি ঠিক হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, যে সব চাষি সুদে ৪ শতাংশ ভর্তুকি হারে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়েছিলেন, কিন্তু ১ মার্চের পরে ঠিক সময়ে শোধ করতে পারেননি, তারা ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময় পাবেন। কোনও জরিমানা দিতে হবে না। করোনা-সঙ্কটের জন্য আগেই এই সময়সীমা ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। নয়া সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে, করোনা-সঙ্কট ৩১ অগস্ট পর্যন্তই চলবে বলে কি মোদী সরকার ধরে নিচ্ছে?
তোমরের জবাব, ‘‘সরকারের কেউ জ্যোতিষী নয়।’’