দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার জন্য আপনি এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারেন অনায়াসেই যদি, বৈদ্যুতিন গাড়ি ব্যবহার করেন। দূষণ রুখতে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্রও ৫ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় দেয়।
পেট্রল, ডিজেল গাড়ির থেকে কোনও অংশে কম যায় না বৈদ্যুতিন গাড়ি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার অনেক বেশি কার্যকরীও। দিন দিন বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদাও বাড়ছে।
কিন্তু বৈদ্যুতিন গাড়ি কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়াটা খুব দরকার। সেগুলো পরিপূর্ণ হচ্ছে কি না রীতিমতো খোঁজখবর নিয়ে তবেই বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনুন। কী সেগুলো দেখে নিন—
রেঞ্জ: ট্যাঙ্কভর্তি জ্বালানি নিয়ে আপনার গাড়ি কতটা দূরত্ব যেতে পারে, সেটাই গাড়ির রেঞ্জ। বৈদ্যুতিন গাড়ির ক্ষেত্রে দেখতে হবে এক বার ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়ার পর কত দূরত্ব আপনার বাইক যায়।
দাম: প্রকৃতিবান্ধব যে কোনও জিনিসেরই দাম বেশি, এ রকম একটা ধারণা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু বৈদ্যুতিন গাড়ির ক্ষেত্রে ধারণাটা খাটে না। জ্বালানি ভরতে পেট্রল, ডিজেলে যা খরচ হয়, তার চেয়ে বৈদ্যুতিন গাড়ির খরচ অনেক কম।
এথার ৩৪০ বা এথার ৪৫০ ই-বাইক কিনতে পারেন আপনি। মোটামুটি ১১০ সিসির স্কুটারের দাম হবে ৭০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ইনসিওরেন্স, ট্যাক্স এবং কোনও রকম পরিষেবা পড়ছে না। যেখানে প্রায় এই দামে এথার ৩৪০ এবং এথার ৪৫০ স্কুটার আপনাকে ইনসিওরেন্স, জিএসটি এবং ন্যূনতম ইএমআই রেটে দেবে। আর প্রথম বছরের জন্য বিনামূল্যে ব্যাটারি চার্জের সুবিধা পাবেন।
ব্যাটারি: স্কুটারের পাওয়ার হাউস হল ব্যাটারি। ব্যাটারির ওয়াট যত বেশি হবে, তত দ্রুত গতিতে স্কুটার ছুটবে। ব্যাটারির ক্ষমতা বেশি হলে অনেক ওজনও বহন করতে সক্ষম হবে।
পাশাপাশি এটাও দেখে নেওয়া জরুরি যে, ব্যাটারিটা পোর্টেবল কি না আর তাতে ওয়ারেন্টি রয়েছে কি না। দেখে নেওয়া জরুরি যে ব্যাটারি ওয়াটারপ্রুফ, শকপ্রুফ কি না। এই বৈশিষ্ট্যগুলো না থাকলে ব্যাটারি তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিষেবা: ইচ্ছে হল কিনে ফেললাম কিন্তু ব্যাটারি চার্জ, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে বা খারাপ হলে মেরামতি কে করতে পারবে, তার কোনও খোঁজখবরই নিলাম না। অগত্যা স্কুটার একবার বিগড়ালে তা বাড়িতে ফেলে রাখা ছাড়া আর উপায় নেই। এমন যেন না হয়। সার্ভিস সেন্টারগুলো বা আপনার বাড়ির কাছাকাছি কোথায় এই বৈদ্যুতিন স্কুটার মেরামতি করা হয় তা অবশ্যই খোঁজ নিয়ে রাখুন।
স্মাডো ল্যাব্স নামে সংস্থা ফোল্ডাবল ই-বাইক তৈরি করে। এতে সুবিধা হল ধরুন আপনি শহর বদলাচ্ছেন। ই-বাইকটা প্রয়োজনে ভাঁজ করে নির্দ্বিধায় নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। এতে অর্থের অপচয়ও কমবে। ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতেও ওস্তাদ এই ই-বাইক।