Business

তলানিতে যাত্রী গাড়ির রফতানি

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই পিছলে যাওয়া প্রত্যাশিতই ছিল। প্রথম ধাক্কা এসেছিল অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে চাহিদা হুড়মুড়িয়ে কমায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার বিষাক্ত কামড়, তাকে রুখতে লকডাউন, ঘরবন্দি জীবন, তালাবন্দি ব্যবসা— এপ্রিল, মে ও জুনের বেশির ভাগ সময়ে এই ছবিটাই দেখেছে গোটা পৃথিবী। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ওই তিন মাস, অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষের ওই প্রথম তিন মাসে ভারতের গাড়ি রফতানি ৭৬.৫৮% কমে গিয়েছে। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, আগের বছর এই সময় যেখানে ১,৩৬,২০৪ গাড়ি বিদেশের বাজারে গিয়েছিল বিক্রির জন্য, এ বার সেখানে তার পরিমাণ মাত্র ৩১,৮৯৬টি। ভ্যান, যাত্রী গাড়ি ও ইউটিলিটি ভেহিক্‌ল নিয়ে সার্বিক যাত্রিযান (প্যাসেঞ্জার ভেহিক্‌ল) ধরা হলে রফতানি কম ৭৫%। আগের বারের ১,৭৩,০৫৪ থেকে কমে তার সংখ্যা এ বার ৪৩,৭৪৮।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই পিছলে যাওয়া প্রত্যাশিতই ছিল। প্রথম ধাক্কা এসেছিল অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে চাহিদা হুড়মুড়িয়ে কমায়। তার পরে করোনা জেরে মাথা তোলা আর্থিক সঙ্কট সেই চাহিদাকে আরও রক্তাক্ত করে। একই অবস্থা বিদেশের বাজারে।

এ দেশ থেকে সার্বিক যাত্রিযানের রফতানি হয় প্রধানত এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ মেননের দাবি, কোভিডের দাপটে বহু গাড়ি কারখানা, ডিলারদের শো-রুম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বিদেশের বিভিন্ন শহরে ছিল কার্ফু। সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার নিট ফল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ধাক্কা। তবে মেননের দাবি, গত তিন মাসের পরিসংখ্যান খারাপ আসলেও, ইতিমধ্যেই রফতানিতে কিছুটা উন্নতি চোখে পড়েছে। আগামী দিনে বিক্রি বাড়বে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement