India

ভাইরাসে বেহাল চিনে পণ্য রফতানি

গত কয়েক বছরে চিনে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রফতানি দ্রুত হারে বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

নোভেল করোনাভাইরাস-বিধ্বস্ত চিন প্রধান বন্দরগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়েছে ভারতের রফতানি শিল্প। বিশেষত প্রমাদ গুনছেন সেই সব ব্যবসায়ী, যাঁরা পড়শি দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য বেচেন। বরাত নিয়ে বসে আছেন তাঁরা, কিন্তু আপাতত পণ্য বিক্রির পথ বন্ধ। বিষয়টি নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল (ইইপিসি)।

Advertisement

গত কয়েক বছরে চিনে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রফতানি দ্রুত হারে বেড়েছে। ইইপিসি-র চেয়ারম্যান রবি সেহগাল জানান, ‘‘চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই সেই বৃদ্ধির হার ২৭.৬০%। রফতানি হয়েছে ১৭৭ কোটি ডলার (প্রায় ১২,৭৪৪ কোটি টাকা) মূল্যের পণ্য।’’ চিনের প্রধান ৪টি বন্দর দিয়ে সেগুলি সে দেশের বাজারে ঢোকে। সেহগালের দাবি, রফতানি আটকে যাওয়ায় বহু ব্যবসায়ীর টাকা আটকে গিয়েছে। এর পরে বন্দরগুলি খুললে জমে থাকা বরাতের সব পণ্য একসঙ্গে ঢুকবে। ফলে চিনের শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্র পেতে সময় লাগবে অনেক। পণ্যগুলি বন্দরে আটকে থাকলে রফতানিকারীদের গুনতে হবে জরিমানাও। এমনকি বেশি দেরি হলে রফতানির বরাত বাতিলের আশঙ্কা করছে শিল্প মহল।

তারা বলছে, বন্দর খোলার পরেও চিন যে সব পণ্য অন্য দেশে পাঠায়, আগে সেগুলিকে পরীক্ষা করে ছাড়া হবে। যাতে করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্যত্র ছড়াতে না-পারে। তার পরে অন্য দেশ থেকে আসা পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে পাবে কাস্টমসের ছাড়পত্র। ভারতীয় রফতানিকারীদের আশঙ্কা, সব মিলিয়ে বিপুল ক্ষতি হতে পারে তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement