প্রতীকী চিত্র।
গত পাঁচ অর্থবর্ষ ধরে এ রাজ্যে টানা বেড়েছে রফতানি। কিন্তু করোনার কামড়ে এই বার ছবিটা বদলে গেল। এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এগ্জ়িম ব্যাঙ্ক) জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন ও জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজ্য থেকে রফতানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮.২%। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ১০০০ কোটি।
দেশের বাণিজ্য উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা এগ্জ়িম ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধান যে ১০টি পণ্য বিদেশে বিক্রির জন্য পাড়ি দেয়, তার মধ্যে সাতটির রফতানিই কমেছে ওই ছ’মাসে। তবে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে মানুষের মাথার চুল ও তা দিয়ে তৈরি সামগ্রী, লৌহ আকর এবং চালের (বাসমতি ছাড়া)।
রাজ্যের বাণিজ্য পণ্য রফতানি কমেছে* •সোনা ও দামি পাথরের গয়না ৭৭.২ • পেট্রোলজাত ৬৩.৮ • চামড়ার ৪২.১ •ইস্পাত ৩.২ • ইস্পাত থেকে তৈরি ৩৮.১ • প্লাস্টিক পণ্য ৩২.৩ তৈরির কাঁচামাল • সামুদ্রিক ২৪.৫ পণ্য রফতানি বেড়েছে* • মানুষের চুল ও তাই দিয়ে তৈরি সামগ্রী ৭৯.২ •লৌহ আকর ৫৭.৭ •চাল (বাসমতি বাদে) ১৯.১ * হিসেব শতাংশে | চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে রফতানির হিসেব তথ্যসূত্র: এগ্জ়িম ব্যাঙ্ক
এগ্জ়িম ব্যাঙ্কের সিজিএম প্রহ্লাথন আইয়ার বলেন, ‘‘২০১৫-১৬ থেকে টানা পাঁচ বছর রাজ্যের রফতানি প্রায় ২১% হারে বেড়েছে। কিন্তু এ বার অবস্থা আশাজনক নয়। করোনার জেরে
টালমাটাল রফতানি। তা কম থাকতে পারে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকেও। তবে গত ছ’মাসের থেকে উন্নতি হতে পারে।’’
অতিমারির ধাক্কায় এখন পুরনো বাজারগুলিতেই বহু ক্ষেত্রে পণ্য পাঠানো ও বিক্রি বাড়ানো কঠিন হচ্ছে। আইয়ার জানান, রফতানিকারী রাজ্যগুলির মধ্যে এখন পশ্চিমবঙ্গ দশম স্থানে রয়েছে। তালিকায় এগোতে রাজ্যকে রফতানির নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া ও মায়ানমারে রোড-শো করার কথাও।