প্রতীকী চিত্র।
মোদী সরকারের দাবি, অতিমারির আবহেও চাকা ঘুরছে অর্থনীতির। নানা মাপকাঠিতেই তা স্পষ্ট। সে ক্ষেত্রে কেনাকাটা এবং ব্যবসাতেও গতি আসার কথা। কিন্তু খুচরো ব্যবসায়ী মহল থেকে বণিকসভা, সকলেই কেন্দ্রের কাছে বাজেটের আর্জি পেশ করতে গিয়ে জানাচ্ছে, কেনাকাটা এখনও তলানিতে। সমাজের নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাতে টাকা কম। অথচ জ্বালানি, খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম চড়া। অতিমারিজনিত তীব্র আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে তাই খরচ কমাচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। ফলে বিক্রিতে ভাটার টান। যে কারণে খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন আরএআই এবং ইন্ডিয়ান চেম্বারের (আইসিসি) মতো বণিকমহল দাবির মধ্যে শীর্ষে রাখছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির শর্তকেই।
সম্প্রতি দুই অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু ও রঘুরাম রাজনও বলেছেন, ভারতের অর্থনীতি মূলত বড় সংস্থা এবং বিত্তবান মানুষের জন্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সমাজের তলার দিকের বিরাট অংশ অন্ধকারে তলিয়ে। ছোট সংস্থাগুলি পুঁজির অভাবে বিপর্যস্ত। আর নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। এর প্রতিফলন বিক্রিবাটা বৃদ্ধির শ্লথ গতি।
মঙ্গলবার আইসিসির বক্তব্য, দেশে ২০২২ সালে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনাকাটা ৬.৯% দাঁড়াবে বলে অনুমান ছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনও তা মাত্র ২.৯%। ২০২০ সালের থেকেও অনেক কম। বহু ক্রেতার কেনাকাটার ইচ্ছে আছে, ক্ষমতা নেই, বলছে আরএআই। কেন্দ্রের কাছে দু’পক্ষের জমা দেওয়া একগুচ্ছ প্রস্তাবে তাই সব থেকে গুরুত্ব পেয়েছে সেই সমস্যা কাটানোর ব্যবস্থা করা। যাতে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার যুঝতে পারেন মানুষ।
বণিকমহলের দাবি, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় মানুষের হাতে নগদের জোগানোর ব্যবস্থা হোক বাজেটে, জিএসটি সরল হোক, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি গ্যারান্টি-যুক্ত ঋণের সুবিধা পাক খুচরো ব্যবসা।