প্রতীকী ছবি।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বরাবরের মতো বলেছেন, অর্থনীতির হাল ফেরাতে আরও বেশি করে এগিয়ে আসুক ব্যাঙ্কগুলি। দরাজ হোক ঋণ বিলিতে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের অভিমত, এমন সঙ্কটের পরিস্থিতিতে বড় নয়, ব্যাঙ্ক ছোট অঙ্কের ঋণ দিক তাঁদের, যাঁরা ঋণের সুবিধা তেমন পান না। আর স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি অরিজিৎ বসুর বক্তব্য, শুধু সাধারণ মানুষকে খুচরো ঋণ দেওয়া বাড়িয়ে লাভ নেই। কারণ, উল্টে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হলে ওই ধার অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হতে পারে। অতিমারির আবহে ব্যাঙ্ক ঋণ প্রসঙ্গে বুধবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উঠে এল এমনই তিন মত।
অক্টোবর থেকে আমজনতার দরজায় বর্তমানে চালু পরিষেবা ছাড়াও আর্থিক লেনদেন করার সুবিধা দেবে ব্যাঙ্কগুলি। আজ এর উদ্বোধন করে নির্মলা বলেন, ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কের মূল ব্যবসা। তাই তাতে তো বটেই, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বেশি জোর দিতে হবে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে। কর্মীদের জানতে হবে সেগুলির খুঁটিনাটি। মানুষ যাতে তার সুবিধা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সকলের দরজায় পৌঁছতে প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল লেনদেনের সাহায্য নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
যদিও বিরলের মতে, আগে ব্যাঙ্কগুলিরই হাল ফেরানো জরুরি। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি বাজার থেকে টাকা তুললেও, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভরসা সেই সরকার। তাদের অনেকের পরিচালনার ধরন এতটাই খারাপ যে, কেউ তার শেয়ার কিনতে চাইবে না। আচার্যের বক্তব্য, এই অবস্থায় উপায় ছোট অঙ্কে ভেঙে ঋণ দেওয়া। যে ভাবে সত্তরের দশকে ছোট প্যাকেটে (স্যাশে) শ্যাম্পুকে মানুষের কাছে পৌঁছেছিল
ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি, ব্যাঙ্ককেও সে ভাবে সকলের দরজায় ঋণ পৌঁছতে হবে। এর মাধ্যমে আর্থিক স্বাস্থ্য ঠিক করে বিক্রির উপযুক্ত হবে তারা। তবে শুধু খুচরো ঋণে সমস্যা মিটবে না জানিয়ে অরিজিৎবাবু বলেন, অবস্থা বুঝে বিভিন্ন ঋণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁর মতে, ঋণ পুনর্গঠনে গ্রাহক ছাড়াও সুবিধা হবে ব্যাঙ্কগুলির।