প্রতীকী ছবি।
চা, কফি, রবার শিল্পের শ্রম আইন (প্লান্টেশন লেবার অ্যাক্ট) বাতিল করবে কেন্দ্র। পরিবর্তে ন্যূনতম মজুরি আইন-সহ শ্রমিক কল্যাণে নতুন বিধি আনছে তারা। শুক্রবার এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়। তবে এই সংস্কার তাদের পক্ষে কতটা সহায়ক হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে চা শিল্প।
১৯৫১ সালের পুরনো আইন মাফিক, শ্রমিককে মজুরির পাশাপাশি আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জলের মতো সামাজিক পরিষেবাও বাধ্যতামূলক ভাবে দিতে হয় সংশ্লিষ্ট শিল্পকে। চা শিল্পের দীর্ঘ দিনের দাবি, হয় এই সামাজিক দায়বদ্ধতার আর্থিক অঙ্ক মজুরির অংশ হিসেবে দেখা হোক অথবা তার পুরো দায়িত্ব নিক সরকার।
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহার বক্তব্য, মজুরি বিলটি আইন হয়েছে। শ্রমিকদের সামাজিক প্রকল্পের বিষয়টি বিল হিসেবে আছে। কিন্তু নতুন আইন ও ওই বিল অনুযায়ী, চা শিল্পে শ্রম আইন সংস্কারের সুফল এখনও তেমন দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিলে প্রস্তাব সামাজিক প্রকল্পের দায় হয় চা শিল্পেরই থাকবে নয়তো তা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে হবে। কিন্তু সেই দায় সরকারের হাতে যাওয়া পর্যন্ত পুরো ভারই বইতে হবে চা শিল্পকে। অথচ নতুন ন্যূনতম মজুরি আইনে ওই সব প্রকল্পে খরচের সর্বাধিক ১৫% মজুরির অংশ ধরতে বলা হয়েছে। আইটিএ-র বক্তব্য, হয় পুরো খরচই মজুরির অংশ হোক নয়তো তার পুরো দায়িত্ব নিক কেন্দ্র। তাই এই শ্রম আইন সংশোধনের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।