— ছবি সংগৃহীত
ডাকঘর এখন আর শুধুমাত্র চিঠিচাপাটি, স্ট্যাম্প বিক্রি বা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নির ঠিকানা নয়। আমজনতার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন এবং পরিষেবা দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র (কমন সার্ভিস সেন্টার বা সিএসসি)। যা ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান) প্রায় আড়াই হাজার ডাকঘরে রয়েছে। তবে এই পরিষেবা কেন্দ্র চালাতে দরকার ইন্টারনেট সংযোগ। ডাক বিভাগের দাবি, সেই সংযোগ যদি ঠিক মতো পাওয়া যায়, তা হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই সার্কলের বাকি ডাকঘরেও ওই কেন্দ্র চালুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।
প্রথাগত ও সাধারণ ডাকঘরের পরিকাঠামো বিপুল। যা ছড়িয়ে রয়েছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। এই পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন আর্থিক এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রসারের পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। যার সাহায্যে ডাককর্মীদের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা পাওয়া যায়। ডাকঘরে মেলে আধার সংক্রান্ত পরিষেবাও।
এর পাশাপাশি, গত বছরের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের ১০টি ডাকঘরের মাধ্যমে চালু হয় সিএসসি পরিষেবা। ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে বর্তমানে শহর ও গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে ৯১২০টি ডাকঘর রয়েছে। অর্থাৎ, আরও ৬৬২৬টি ডাকঘরে ডিসেম্বরের মধ্যে সিএসসি চালু হওয়ার কথা।
ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের নতুন চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (সিপিএমজি) জে চারুকেশি জানান, ডাক বিভাগের প্রচলিত কাজকর্মের পাশাপাশি নতুন পরিষেবাগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত এই সার্কলের ২৪৯৪টি ডাকঘরে সিএসসি চালু হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ পেলে বাকিগুলিতেও এ বছরের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।