প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রতিরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মহাকাশ, টেলিকম, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এত দিন বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল আমেরিকা। ফলে ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক অগ্রগতি বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা অনেক ক্ষেত্রেই তুলে নেওয়া হবে বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর। এর ফলে উচ্চপ্রযুক্তি নির্ভর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়তে পারে।
স্মার্টফোন হোক বা গাড়ি, কম্পিউটার বা বৈদ্যুতিন পণ্য, সবেরই এখন মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে সেমিকনডাক্টর বা সিলিকন চিপ। কিন্তু সেই চিপের জন্য চিন ও তাইওয়ান বড় ভরসা। তাদের উপর নির্ভরতা কমাতে এ বার আমেরিকা ভারতে সেমিকনডাক্টর কারখানা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সূত্রের খবর, মোদীর আমেরিকা সফরকালে এ বিষয়ে বড় ঘোষণা হতে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, সফরের সময়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও দু’টি বড় ঘোষণা হতে পারে। এক, ভারত ৩০০ কোটি ডলার খরচ করে আমেরিকার জেনারেল অ্যাটমিক্সের তৈরি ৩০টি হানাদার ড্রোন কেনার চুক্তি করবে। দুই, আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিক এ দেশের হ্যাল-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির বিষয়ে চুক্তি হতে পারে।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান আজ দিল্লিতে জানিয়েছেন, মোদীর সফরের আগে সেমিকনডাক্টর ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। প্রতিরক্ষা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাণিজ্য, পারস্পরিক লগ্নি, বৈজ্ঞানিক-প্রযুক্তিবিদ-গবেষকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে সব বাধা রয়েছে, তা দূর করা নিয়েও চলছে আলোচনা।