টাওয়ারের মতো বিভিন্ন পরিকাঠামোর দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করেছে সদর দফতর। ফাইল ছবি
জল্পনাই সত্যি হল। কেন্দ্র দেশীয় প্রযুক্তিই নিতে হবে বলে জানালেও, তা এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় ১৫ অগস্ট বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছিল। সে জন্যই যে পরিষেবাটি শুরু করা যায়নি, তা মানছে সংস্থার শীর্ষ স্তরের সূত্রও। কিন্তু আদৌ কবে তা চালু হবে, মিলছে না কোনও ইঙ্গিতই। তবে আপাতত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মতো বিশেষ তহবিলের অর্থে গ্রামে ৪জির পরিকাঠামো গড়তে নিখরচায় জায়গা চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলতে সিজিএম-দের চিঠি দিয়েছেন সংস্থাটির সিএমডি পি কে পুরওয়ার।
মাস ছয়েক আগে পুরওয়ার সংস্থার অফিসারদের সভায় জানান, স্বাধীনতা দিবসে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও দ্রুত তা চালুর বার্তা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষকর্তা মঙ্গলবার জানান, দেশীয় প্রযুক্তির প্রামাণ্যতার বিষয়টির বেশিরভাগই সম্পূর্ণ। বাকি পরীক্ষার কাজ চলছে। ওই প্রযুক্তি ও তার যন্ত্রের নির্মাতা টিসিএসের সঙ্গে দামের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে বাজারে জল্পনা রয়েছে। শীর্ষ স্তর সূত্রের খবর, উভয়পক্ষের মধ্যে এখনও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা টেলি-পরিষেবাহীন গ্রামে বিএসএনএলের মাধ্যমে ৪জি পরিষেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগেই। এ বার তার প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে ২৫ অগস্টের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ করতে সব সার্কলের সিজিএম-দের চিঠি দিয়েছেন পুরওয়ার। তাঁর বার্তা, এই শিল্পের জন্য বিশেষ তহবিলের অর্থে প্রায় ৩০,০০০ গ্রামে ৪জি পরিষেবার জন্য বিএসএনএলের উপরই আস্থা রেখেছে কেন্দ্র। এ জন্য পরিকাঠামো গড়তে ২০০ বর্গ মিটার জায়গা লাগবে। জায়গা চূড়ান্ত করতে ও দ্রুত অপটিক্যাল ফাইবার পাতার জন্য ছাড়পত্রের ব্যাপারে মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলতে হবে সিজিএম-দের। পরে বিএসএনএলের বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের জেলাশাসকদের সঙ্গেও কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হবে।
তবে চিঠিতে তাঁর দাবি, টাওয়ারের মতো বিভিন্ন পরিকাঠামোর দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করেছে সদর দফতর। বৈদ্যুতিন যন্ত্র, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদির মতো মূল পরিকাঠামোর কিছু বরাত দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কবে আসবে বিএসএনএলের ৪জি, তা ফের জল্পনার বৃত্তেই আটকে।