Oil Export

জ্বালানি রফতানিতে রাশ বহাল

রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কিনলেও কিছু সংস্থা দেশের বাজারে জ্বালানির জোগান বাড়াচ্ছে না। উল্টে বেশি লাভের সুবিধা নিতে আগ্রাসী ভাবে সেগুলির রফতানিতে ঝাঁপাচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৫৯
Share:

পেট্রল-ডিজ়েলের রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখল কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।

কৃষিকাজে গতি আসায় ফেব্রুয়ারির পরে মার্চেও দেশে জ্বালানির চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পেট্রল-ডিজ়েলের রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখল কেন্দ্র। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, দেশীয় বাজারে সেগুলির জোগান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। তাই রফতানিতে বিধিনিষেধ আপাতত চলবে।

Advertisement

গত বছর কেন্দ্র বলেছিল, ভারতীয় তেল শোধনকারী সংস্থাগুলিকে ৫০% পেট্রল এবং ৩০% ডিজ়েল দেশেই বেচতে হবে। কোনও লগ্নি না করেও যারা বাজার দরের সুবিধা নিয়ে বিপুল মুনাফা করছিল, তাদের সেই পড়ে পাওয়া লাভে রফতানি কর বসে। অভিযোগ ছিল, বিশ্ব বাজারে চড়া দরের সুবিধা নিতে দেশে পেট্রল-ডিজ়েল বিক্রি কাটছাঁট করে বিদেশে রফতানি বাড়াচ্ছে বহু বেসরকারি তেল শোধনকারী। ফলে বহু পাম্প জ্বালানি শূন্য পড়ে থাকছে। ভুগছেন মানুষ। দেশে উৎপাদিত অশোধিত তেলেও সেই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার মধ্যে ছিল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, নায়ারা এনার্জির মতো সংস্থার নাম।

অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কিনলেও কিছু সংস্থা দেশের বাজারে জ্বালানির জোগান বাড়াচ্ছে না। উল্টে বেশি লাভের সুবিধা নিতে আগ্রাসী ভাবে সেগুলির রফতানিতে ঝাঁপাচ্ছে। তার পরেই সেগুলির রফতানিতে রাশ টানতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে কেন্দ্র। গত শুক্রবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত তা বসানো হয়েছিল। তার পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বাড়ানো হয়। তবে কত দিন এই বিধিনিষেধ চলবে তা জানানো হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি তেল শোধন সংস্থাগুলি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার উৎসাহ হারাতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement