ফাইল চিত্র
কর্মীর অবসরের দিনই যাতে তাঁর হাতে পেনশন সংক্রান্ত নির্দেশের কপি (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার বা পিপিও) তুলে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতর (ইপিএফও)। এর জন্য ‘প্রয়াস’ নামে একটি প্রকল্পও চালু করেছে তারা। এই উদ্যোগ মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিয়োগকারীদের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠানো শুরু করেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হবে ওয়েবিনারের মাধ্যমেও।
অবসরের পরে পিএফের পেনশন সংক্রান্ত নির্দেশের কপি হাতে পেতে কর্মীর অনেক ক্ষেত্রে মাসখানেক সময় লাগে। সব নথি ঠিক না-থাকলে সময় লাগে আরও বেশি। ফলে পেনশন শুরু হতেও দেরি হয়। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সহকারী কমিশনার দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘এখন আমাদের দফতরের সব রেকর্ডই কম্পিউটারে নথিবদ্ধ থাকায় কর্মী যে দিন অবসর নেবেন, সে দিনই তাঁর হাতে পেনশনের অর্ডার তুলে দেওয়া সম্ভব। তবে এ জন্য অবসরের অন্তত ১৫-৩০ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পেনশনের দাবি সংক্রান্ত আবেদনপত্র দফতরে পৌঁছনো জরুরি।’’ তিনি বলেন, তাঁদের কাছে থাকা বিভিন্ন সংস্থার নথি ঘেঁটে যে সব কর্মী কিছু দিনের মধ্যেই অবসর নেবেন, তাঁদের পেনশনের আর্জি পাঠাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। এই পদ্ধতিতে সম্প্রতি বেশ ক’জন কর্মীর অবসরের দিনই তাঁদেরকে পিপিও দেওয়া হয়েছে। তবে ইপিএফও-র মতে, ব্যবস্থাটি ব্যাপক ভাবে কার্যকর করতে নিয়োগকারীর সাহায্য জরুরি। পাশাপাশি, অবসরের অন্তত এক মাস আগে পিএফ দফতরে যাতে পেনশনের আর্জি এসে পৌঁছয়, সে জন্য কর্মী এবং শ্রমিক সংগঠনগুলিকে উদ্যোগী হতে হবে।
তবে পিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পিপিও মঞ্জুর হওয়ার জন্য কর্মীর নথিতে নির্ভুল তথ্য থাকতে হবে। পেনশনের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আধার নম্বরও দিতে হয়। অনেক সময়েই দেখা যায়, তার তথ্যের সঙ্গে পিএফ দফতরে কর্মীর নথিবদ্ধ তথ্যের ফারাক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু দাবি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সমস্যা হতে পারে চাকরি ছাড়ার পরে পিএফের চূড়ান্ত দাবির ক্ষেত্রেও। তাই আবেদনপত্র জমার আগে ইউএএন ব্যবহার করে নেটে পিএফের তথ্য যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে ইপিএফও।
পিএফের আঞ্চলিক কমিশনার নবেন্দু রায় বলেন, ‘‘পিএফ দফতরের তথ্যে ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য ঠিক তথ্যের প্রমাণ-সহ আবেদনপত্র যৌথ ভাবে পিএফ দফতরে জমা দিতে হবে কর্মী ও নিয়োগকারীকে। আধারের তথ্যে ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে আধার পরিষেবা কেন্দ্রে।’’