প্রতীকী ছবি।
উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনাকালে দেশে বেকারত্বের হার সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সেই পরিসংখ্যান কি ঠিক? লোকসভায় এই প্রশ্নই করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। সোমবার কেন্দ্র এর সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও সেই দাবি খারিজও করল না। বরং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের ষষ্ঠ আর্থিক সুমারির পরিসংখ্যানের নিরিখে ২০২১ সালের এপ্রিল-জুনে সংগঠিত ক্ষেত্রের কাজের হিসাবের তুলনা টেনে বোঝাতে চেষ্টা করল কতটা বেড়েছে কর্মসংস্থান। যে ‘সাফল্যের’ দাবি নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
তারুরের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বেকারত্ব হারের হিসাব পেশ করেছেন। সেই অনুযায়ী ওই তিন বছরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল যথাক্রমে ৬.০%, ৫.৮% এবং ৪.৮%। তখনও অবশ্য করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েনি। ২০১৯ সালে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের হিসাবে উঠে আসে, ২০১৭-১৮ সালে দেশের বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল সাড়ে চার দশকের সর্বোচ্চ। পরে করোনার ধাক্কায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের অর্থনীতি মন্দার খাদে পড়ে। কাজ হারান বহু মানুষ।
মন্ত্রী জানান, গত এপ্রিল-জুনে ন’টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজে জড়িত ছিলেন ৩.০৮ কোটি মানুষ। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের আর্থিক সুমারিতে তা ছিল ২.৩৭ কোটি। অর্থাৎ, সাত বছরে ওই ক্ষেত্রগুলিতে কাজ বেড়েছে মোট ২৯%। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বছরের নিরিখে বৃদ্ধি আদতে ৪%। যা ঝিমিয়ে থাকা কাজের বাজারেরই প্রতিফলন।