বাংলার বালুচরি কিংবা নাগাল্যান্ডের বাঁশের ব্যাগ অনলাইনের জমানায় ফিরে পাচ্ছে জৌলুস।
কলকাতার পুজো বা চেন্নাইয়ের পোঙ্গল, সর্বত্রই ফ্যাশন এখন ‘এথনিক আইটেম’। তাই হাতে তৈরি গয়না, শাড়ি বা ঘর সাজানোর জিনিস পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকছে। তবে শুধু ইট-কাঠের দোকানে নয়, ডিজিটাল ব্যবস্থায় কেনাকাটা হয় এক ক্লিকেই। আর এই ই-কমার্সকে হাতিয়ার করেই বাজারের পরিধি বাড়িয়ে লাভের মুখ দেখছে বিভিন্ন হস্তশিল্প সংস্থা।
সরকারি সংস্থার মধ্যে রাজ্যের মঞ্জুষা, তন্তুজ হোক বা সর্বভারতীয় স্তরে ক্রাফ্টস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া— নেট বাজারে সামিল হয়েছে সকলে। এগিয়ে আসছে একাধিক বেসরকারি সংস্থাও। রাজ্য হস্তশিল্প নিগম সূত্রের খবর, তিন দশক আগে পথ চলা শুরু করলেও মঞ্জুষা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা লাভের মুখ দেখেছে ২০১৬-’১৭ সালে। সংস্থার দাবি, সিল্ক, তাঁতের শা়ড়ি, হাতে তৈরি জিনিস নেট বাজারে আসায় ক্রেতা বেড়েছে। সংস্থার এমডি অমিত দত্ত বলেন, ‘‘বাজার বেড়েছে তাই লাভ হচ্ছে।’’
তন্তুজের এক কর্তা জানান, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশকে টানতেই নেটে বিক্রি শুরু। তাঁদের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে পণ্যের মান ও ডিজাইনেও বদল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরেই তন্তুজ লাভজনক সংস্থা হয়ে উঠেছে। নেটকে হাতিয়ার করে এখন বিদেশেও তারা জনপ্রিয়।’’ ক্রাফ্টস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সভাপতি কস্তুরী গুপ্ত মেনন বলেন, ‘‘আজকের বাজারে টিকে থাকতে হলে ই-কমার্সকে বাদ দেওয়া যাবে না।’’
শিল্পীরাও খুশি। উত্তর ভারত ভিত্তিক অনলাইন বিপণি জেপোর-এর সঙ্গে যুক্ত হস্তশিল্পী মানস ঘড়াই জানান, ‘‘এখন বাড়িতে বসে আমেরিকাতেও অনলাইনে জিনিস বিক্রি করতে পারছি। তৈরি হচ্ছে শিল্পীর নিজস্ব পরিচিতিও।’’