এলন মাস্ক। -ফাইল ছবি।
বছরটা গোড়া থেকেই মাস্ক-ময়। বছরের শেষে এসে সংবাদের শিরোনামে এলেন আর এক মাস্ক। ‘টেসলা’, ‘স্পেস এক্স’-এর এলন মাস্ক। সম্পদের নিরিখে ‘মাইক্রোসফ্ট’ সংস্থার কর্ণধার বিল গেটসকে টপকে গিয়ে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দু’নম্বর জায়গাটা আপাতত মাস্কেরই। এক নম্বরে অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। তিন নম্বরে গেটস। তালিকায় ১০ নম্বরে আছেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী।
ফিবছর বিশ্বের কোটিপতিদের তালিকা তৈরি করে যারা সেই ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স’ সোমবার এই খবর দিয়েছে। জানিয়েছে, মাস্ক-ময় এ বছরে বিশ্বের ৫০০ জন কোটিপতির মধ্যে তড়তড় করে এগিয়ে এসে গেটসকে টপকে তালিকার দু’নম্বরে চলে এসেছেন এলন মাস্ক। বছরের শুরুতে যিনি ছিলেন তালিকার ৩৫ নম্বরে।
সম্পদের নিরিখে তালিকায় ৩৫ নম্বর থেকে ২ নম্বরে উঠে আসতে টেসলার সহ প্রতিষ্ঠাতা মাস্ককে সাহায্য করেছে তাঁর সংস্থার উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারের দাম। হু হু করে টেসলা মোটরের শেয়ারের দাম চড়ে যাওয়ায় মাস্ক-ময় বছরে এলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। একটু পিছিয়ে পড়ে গেটসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকাকে এ সপ্তাহেই ছাড়পত্র দিতে পারে ব্রিটেন
আরও পড়ুন: কনকনে পাহাড়, কলকাতা ১৫.৫, পানাগড় ৮, চলবে শীতের আমেজ
আরও উল্লেখযোগ্য, করোনা সংক্রমণে অত্যন্ত বিপন্ন বিশ্ব অর্থনীতির বছরেও এলন মাস্ক তাঁর মোট সম্পদ আরও ১০ হাজার ৩০ কোটি ডলার বাড়িয়ে নিতে পেরেছেন। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সে এ বার যে ৫০০ জন কোটিপতির নাম রয়েছে, তাঁদের কেউই এ বছর নিজেদের সম্পদ এতটা বাড়াতে পারেননি। টেসলার বাজার মূল্য এখন ৫০ হাজার কোটি ডলার। মাস্কের সম্পদের তিন-চতুর্থাংশই টেসলার শেয়ারের দৌলতে। যে শেয়ারের দাম তাঁর অন্য সংস্থা ‘স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস (স্পেস-এক্স)’-এর শেয়ারের ৪ গুণ।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের ৮ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে দু’বার নিজের জায়গাটা ছাড়তে হল মাইক্রোসফ্ট কর্তা বিল গেটসকে। প্রথম বার তাঁর জায়গা কেড়েছিলেন অ্যামাজন কর্তা বেজোস। গেটস চলে গিয়েছিলেন দু’নম্বরে। এ বার গেটসকে তিন নম্বরে পাঠালেন এলন মাস্ক।