প্রতীকী ছবি।
ক’দিন আগেই স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট বলেছিল, ব্যাঙ্ক আমানতে সুদ থেকে আয় কার্যত দাঁড়িয়েছে শূন্যেরও নীচে। সমস্যায় পড়ছেন সুদ নির্ভর, মূলত প্রবীণ নাগরিক। তাই সেই সুদে করের হার ফিরে দেখুক কেন্দ্র। কিন্তু রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর আর গাঁধীর মতে, এই কম সুদের জমানার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে প্রবীণদের। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় সুদ বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তা ছাড়া সুদ বৃদ্ধির রাস্তা তৈরির প্রথম শর্ত হল দেশের অর্থনীতির করোনার আগের জায়গায় ফেরা। কিন্তু বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে বাজারে নগদের জোগান বজায় রাখবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে চলতি অর্থবর্ষে সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শেয়ার বাজার উঁচু থাকায় মানুষ মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ডে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে কম সুদের কারণে বাধ্যও হচ্ছেন এই পথ বাছতে। কিন্তু বহু মানুষ আছেন, যাঁরা অবসর নিয়েছেন কিন্তু পেনশন পান না এবং লগ্নিতে চান না ঝুঁকিও। তাঁরা মূলত সুদের উপরেই নির্ভরশীল। ফলে সুদ কমলে তাঁরা যাবেন কোথায়? শুক্রবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সভায় গাঁধীর কথায়, ‘‘তাঁদের এ বার কম সুদের জমানার সঙ্গে মানাতে ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নির দিকেই এগোতে হবে।’’ তাঁর ইঙ্গিত, আয় বাড়াতে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের রাস্তা ধরার জন্যই প্রস্তুত হতে হবে ওই প্রবীণ নাগরিকদের।
পাশাপাশি গাঁধী বলেন, শিল্পের পুঁজি জোগাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থার ভূমিকা ক্রমশ কমছে। বাড়ছে শেয়ার বাজার থেকে টাকা তোলার গতি। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগেও
ঋণের বাজারের ৫০% দখলে ছিল ব্যাঙ্কগুলির। এখন ৪৩%। উল্টো দিকে তাদের মূলধন জোগানোয় বাজারের অবদান ২৮% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩%। গত বছর শেয়ার ছেড়ে রেকর্ড টাকা সংগ্রহ করেছে সংস্থাগুলি।’’
এ দিকে, সভায় উৎসবের মরসুমে ব্যবসা বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। তিনি বলেন, ব্যবসা বাড়লে সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবে ছোট শিল্প।