রেল স্টেশনে গয়না! প্রতীকী চিত্র
‘ওয়ান স্টেশন, ওয়ান প্রডাক্ট’। গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ বাজেটে ভারতীয় রেলের এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাতে বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পে রেলের উদ্যোগে স্থানীয় হস্তশিল্পের প্রচার, প্রসার চালানো হবে গোটা দেশে। আগেই বিভিন্ন রেল সেই প্রকল্প দেশের বিভিন্ন শহরে শুরু করে। এ বার উদ্যোগী পূর্ব রেলও। শুক্রবার থেকে হাওড়া স্টেশনে শুরু হল তেমনই এক প্রদর্শনী। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ১৫ দিনের জন্য এই প্রদর্শনী চলবে। সেখান থেকে শাড়ি, গয়না, ব্যাগ, দোলনা ইত্যাদি বিক্রিও শুরু হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগামী দিনে রাজ্যে পূর্ব রেলের অন্তর্ভূক্ত সব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনেই এমন প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
অতীতে ভারতীয় রেল এমনই এক প্রকল্প নিয়েছিল। সেটির নাম ছিল, ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্ট’। সেই প্রকল্পে রেল স্টেশনে সংশ্লিষ্ট জেলার কোনও উৎপাদনের প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রদর্শনী এবং বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। এ বার আরও একটু এগিয়ে প্রতিটি রেল স্টেশনে জেলার নয়, সেই এলাকার উৎপাদন বিক্রির উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনে চলছে প্রদর্শনী ও বিক্রি। নিজস্ব চিত্র
বাজেট পেশের সময়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ নীতিকে কার্যকর করতেই এই উদ্যোগ। এর পরে বিশাখাপত্তনম স্টেশনে শুরু হয়েছে স্থানীয় খেলনার প্রদর্শনী ও বিক্রি। রাজস্থানের কোটা স্টেশনে শুরু হয় স্থানীয় শাড়ির প্রদর্শনী। এ বার হাওড়া স্টেশন দিয়ে শুরু হল বাংলার স্টেশনে স্টেশনে প্রদর্শনীর যাত্রা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক ভাবে ১৫ দিনের জন্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে অংশ নিতে পারছেন উৎপাদক ও বিক্রেতারা। প্রকল্প সফল করতে হস্তশিল্প নিয়ে কাজ করে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যও নেওয়া হবে। প্রথমে বড় স্টেশনগুলিতে প্রকল্প শুরুর পরে তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
রেল মনে করছে, এর ফলে স্থানীয় হস্তশিল্পের উন্নতি সম্ভব হবে। কোথাও বেড়াতে গেলে অনেকেই সেই জায়গার জিনিস কিনতে চান। সাধারণ দোকান থেকে কিনলে ঠকতে হতে পারে বলে ভয় পান অনেকেই। কিন্তু রেলের ব্যবস্থাপনায় তৈরি প্রদর্শনীর দোকান থেকে কেনার ক্ষেত্রে তাঁরা ভরসা করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করার সময়েই কেনাকাটা করা যাবে। যার ফলে যাত্রীদের সময় সাশ্রয়ও হবে।