—প্রতীকী চিত্র।
বিদ্যুতের বিল বাবদ ঝাড়খণ্ডের কাছে বিপুল টাকা পায় ডিভিসি। ২০১৫-১৬ থেকে গত পাঁচ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক প্রায় ৫৬৭০ কোটি। কয়লা কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরবরাহ করার পরেও এত বিল বাকি
পড়ায়, কোষাগারে টানাটানি শুরু হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির। প্রথমে ওই রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ কাটছাঁটের কথাও ভাবা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রের থেকে ঋণ নিয়ে বকেয়ার একাংশ মেটানোর কথা দিয়েছে ঝাড়খণ্ড। ফলে সরবরাহ ছাঁটার পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে সংস্থা।
ডিভিসি ঝাড়খণ্ডকে দিনে ৬০০-৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
বকেয়ার জেরে ফেব্রুয়ারিতে টানা কয়েক দিন নিয়ম মেনে ঝাড়খণ্ড বিজলি বিতরণ নিগমের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছিল ডিভিসি। এ দফাতেও সেই পরিকল্পনাই করা হয়েছিল। আর তা হলে ধানবাদ, বোকারো, হাজারিবাগ-সহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ধাক্কা খেত। বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় আপাতত সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তবে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণের ভাবনাকে ভাল ভাবে নেয়নি ঝাড়খণ্ড। সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে মার্চে নিগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডিভিসির কর্তারা। নিগম জানায়, তারা পুরনো বকেয়া ২৪টি কিস্তিতে দেবে। নতুন বিল দেবে মার্চ থেকেই। কিন্তু ডিভিসির অভিযোগ, তা দিতে পারেনি রাজ্য। ফলে তারাও সঙ্কটে। সংস্থার এক কর্তা জানান, কয়লার দাম মেটানো থেকে অন্যান্য খরচ নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি জানানো হয় বিদ্যুৎ মন্ত্রককে। তার মধ্যেই নিগম বকেয়া মেটানোর কথা জানিয়েছে।