Jute industry

চট শিল্পের লোকসান ২০০ কোটি

সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের দাবি, ৯০% চটকলে উৎপাদন হয়নি। মালিকদের একাংশ বলছেন, ৮০ শতাংশই বন্ধ ছিল। ব্যারাকপুর অঞ্চলে কয়েকটি খোলা থাকলেও, কাজ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র

এমনিতেই নানা কারণে উৎপাদন ভাল হচ্ছে না বলে সময়ে চাহিদা মতো চটের বস্তার জোগাতে পারছে না রাজ্যের চটকলগুলি। ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র প্লাস্টিকের বস্তা কিনতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তার মধ্যেই বুধবার কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের বিপুল প্রভাব পড়ল রাজ্যের চট শিল্পে।

Advertisement

সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের দাবি, ৯০% চটকলে উৎপাদন হয়নি। মালিকদের একাংশ বলছেন, ৮০ শতাংশই বন্ধ ছিল। ব্যারাকপুর অঞ্চলে কয়েকটি খোলা থাকলেও, কাজ হয়নি। শিল্প সূত্রে খবর, এর ফলে এক দিনেই রাজ্যে প্রায় ৪,০০০ টন চটের বস্তার উৎপাদন ধাক্কা খেয়েছে। লোকসানের অঙ্ক প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর দাবি, কোনও চটকলে কাজ হয়নি। স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন মিলেছে। রাজ্যের চট শিল্পে শ্রমিকদের সাতটি বাম ইউনিয়ন। ফলে কংগ্রেস-সহ বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে উৎপাদন যে ধাক্কা খাবে তা জানাই ছিল। ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কথা অধিকাংশ ইউনিয়ন চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-কে জানিয়েও দিয়েছিল।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্যে চালু চটকল প্রায় ৬০টি। প্রায় ২.৫ লক্ষ কর্মী। দেশে খাদ্যশস্য ভরতে চটের বস্তার বাধ্যতামূলক ব্যবহারের যে আইন রয়েছে, তার সিংহভাগই জোগায় পশ্চিমবঙ্গ। চটকল মালিকদের দাবি, বুধবার ধর্মঘটে উৎপাদনে যা ঘাটতি হল, তা চট করে পূরণ করা কঠিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement