স্টার্ট-আপকে উৎসাহ দিতে নতুন রূপরেখা প্রস্তাব করেছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। সূত্রের খবর, নবনির্বাচিত সরকারের কাছে তা জমা পড়বে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, এখন ভোট চলছে। তাই কি সরকার এই প্রস্তাব এ ভাবে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিল? এক ধাপ এগিয়ে কংগ্রেসের দাবি, আসলে নরেন্দ্র মোদী সরকার কার্যত স্বীকারই করে নিচ্ছে স্টার্ট-আপ নিয়ে তাদের প্রথম পর্যায়ের উদ্যোগ পুরোপুরি ব্যর্থ।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রস্তাবগুলি তৈরি করেছে তাদের অধীনস্থ ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি)। বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ৫০,০০০ স্টার্ট-আপ গড়তে সাহায্য করা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরিই প্রস্তাবিত রূপরেখার উদ্দেশ্য। উদ্যোগগুলিকে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করতে ৫০০ নতুন ইনকিউবেটর, ১০০টি উদ্ভাবনী কেন্দ্র এবং এক গুচ্ছ কর ছাড়ের কথা বলা হয়েছে সেখানে। স্টার্ট-আপ সংক্রান্ত বিভিন্ন তহবিলের জন্য মোট ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবও করা হয়েছে। মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘ডিপিআইআইটি চায় স্টার্ট-আপের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে। এই পদক্ষেপ তাকে সাহায্য করবে।’’
২০১৬ সালে স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পরে পরিস্থিতি যে তেমন উৎসাহব্যঞ্জক নয়, তা ফুটে উঠেছে নানা সরকারি পরিসংখ্যানে। অভিযোগ, সরকারি তহবিল থেকে পুঁজি পেতেও সমস্যা হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া বা মুদ্রা যোজনার মতো মোদী সরকারের যাবতীয় প্রকল্প ব্যর্থ। সেটা বুঝেই নির্বাচনের সময়ে নতুন প্রকল্পের খবর ভাসানো হচ্ছে।’’