প্রতীকী ছবি।
টেলিকম দফতরের কাছে বকেয়া কত, সে ব্যাপারে তাদের নিজস্ব যুক্তি রয়েছে বলে দাবি করেছে টেলিকম সংস্থাগুলি। বকেয়ার হিসেব আরও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে টেলিকম দফতরও (ডট)। সূত্রের খবর, তা করা হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। সে ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বছরের হিসেব দেখা হতে পারে।
ব্যবসার কোন কোন অংশের উপরে টেলি সংস্থাগুলিকে রাজস্ব দিতে হবে, সে ব্যাপারে ডটের হিসেবই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই হিসেবে ১৫টি সংস্থার কাছে বকেয়ার অঙ্ক দাঁড়ায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে স্পেকট্রাম, লাইসেন্স ফি, সুদ ও জরিমানা-সহ ভোডাফোন আইডিয়ার বকেয়ার অঙ্ক ছিল ৫৩,০০০ কোটি টাকা। এয়ারটেলের ৩৫,০০০ কোটি। সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হিসেব এবং সেই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলেছে ডট।
এরই মধ্যে এয়ারটেল ১৮,০০৪ কোটি জমা দিয়েছে। সংস্থার দাবি, তাদের হিসেব অনুযায়ী বকেয়া ১৩,০০৪ কোটি। বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, দু’টি হিসেবের এতটা পার্থক্য হয় কী ভাবে? এই প্রেক্ষিতেই ডটের হিসেব খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তারা। ডট অবশ্য ভোডাফোন ও টাটা টেলিসার্ভিসেসকেও তাদের হিসেব ও নথি জমা দিতে হলেছে। সূত্রের খবর, টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশের সঙ্গে ভোডাফোনের এমডি-সিইও রবীন্দ্র টক্করের এ নিয়ে কথা হয়েছে।