প্রতীকী ছবি।
স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়ার বোঝায় টেলিকম শিল্প ন্যূব্জ। বিশেষ করে ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া। গত সপ্তাহে টেলিকম মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে অবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। চেয়েছেন ত্রাণ। এর পরেই রবিবার টেলিকম দফতর (ডট) এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা এ নিয়ে বৈঠকে বসেন। অর্থ মন্ত্রক ও নীতি আয়োগের আধিকারিকেরাও ছিলেন বলে খবর। এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক চললেও, পরে কর্তারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। অনেকের বক্তব্য, ছুটির দিনে বৈঠকে বসার তাগিদেই পরিষ্কার, কেন্দ্র সমস্যার গভীরতা আঁচ করতে পারছে।
অক্টোবরে সংস্থাগুলির কাছে পাওনা নিয়ে ডটের হিসেবকেই মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়ার মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছিল ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগটাই চেপেছে এয়ারটেল ও ভোডাফোনের ঘাড়ে। বকেয়ার সামান্য অংশই এখনও পর্যন্ত মিটিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তল জানান, সঙ্কট ‘নজিরবিহীন’। সমাধান সূত্র বার না-হলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে ভোডাফোন। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ বজায় রেখেও কী ভাবে সংস্থাগুলিকে স্বস্তি দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। কারণ, বাজারে এখন মাত্র তিনটি বেসরকারি পরিষেবা সংস্থা। তার মধ্যে একটিরও ঝাঁপ বন্ধ হোক, তা কেন্দ্র চায় না। সংস্থাগুলি যাতে কম সুদে ঋণ পায় তার জন্য একটি তহবিল তৈরির আর্জি জানিয়েছিলেন মিত্তল। সেই প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
এ দিকে, সংস্থাগুলিকে ১৭ মার্চের মধ্যে পাওনার হিসেব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ডট। এ দিন টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজ জানান, সংস্থাগুলিকেও তাদের হিসেব ও যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া উচিত।
সংবাদ সংস্থা